(বাঁ দিক থেকে)রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
রাষ্ট্রপতির কাছে তাঁর নামে ‘রিপোর্ট’ গিয়েছে জেনেও নির্বিকার রাজ্য বিধানসভার স্পিকার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার দুই তৃণমূল বিধায়ককে তাঁর শপথবাক্য পাঠ করানো নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ওই রিপোর্ট পাঠিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে। যা শুনে বিমান বলেন, ‘‘খুব আনন্দের কথা। আমি আরও খুশি হতাম, যদি উনি আগেই এটা করতেন। কারণ রাষ্ট্রপতিজিকে আমরা আগে জানিয়েছি।’’
শুক্রবার দুপুরে তৃণমূলের দুই বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রেয়াত হোসেন সরকারের শপথগ্রহণ করান স্পিকার। কিন্তু তা নিয়ে দুপুর থেকেই নতুন করে শুরু হয়েছে বিধানসভা বনাম রাজভবনের ‘ঠান্ডা লড়াই’। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় দুই বিধায়কের শপথগ্রহণের জন্য যে ডেপুটি স্পিকারকে তাঁর ‘প্রতিনিধি’ নিয়োগ করেছিলেন রাজ্যপাল, তিনি বিধানসভায় ঘোষণা করেন, স্পিকারের সামনে তিনি ওই দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। তাঁর অনুরোধেই সায়ন্তিকাদের শপথবাক্য পাঠ করান স্পিকার বিমান। একই সঙ্গে তিনি জানান, তাঁর শপথবাক্য পাঠ করানোয় কোনও গলদ নেই। ‘রুলস অফ বিজনেস’-এর ২ নম্বর অধ্যায়ের ৫ নম্বর ধারা মেনে তিনি সায়ন্তিকাদের শপথবাক্য পাঠ করাচ্ছেন। যে হেতু বিধানসভার অধিবেশন চালু আছে, তাই রাজ্যপালের ওই চিঠি ‘মান্যতা’ পেল না।
স্পিকারের ওই কাজে ‘সংবিধানকে অমান্য’ করা হয়েছে জানিয়ে রাষ্ট্রপতিকে রিপোর্ট পাঠান রাজ্যপাল। সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে সে কথা জানানও। সেই পোস্ট নিয়ে বিমানকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যপালের কোনও সমাজমাধ্যম পোস্টের জবাব আমি দেব না। আমি যা করার আইনসঙ্গত ভাবেই করেছি। আর তা বিধানসভায় নথিভুক্তও হয়ে গিয়েছে।’’ বিমানের কাছে এর পরে জানতে চাওয়া হয়েছিল, রাষ্ট্রপতির কাছে রিপোর্ট পাঠালে এ নিয়ে নতুন করে আর কোনও জটিলতা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা আছে কি? জবাবে বিমান খানিক আত্মবিশ্বাসের সুরেই বলেন, ‘‘রাজ্যপালের কোনও ক্ষমতা নেই স্পিকারকে অপসারণ করার। আর রাষ্ট্রপতিরও সেই ক্ষমতা নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy