চলতি মাসের মধ্যেই ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণদের শংসাপত্র দিতে আদালতে দেওয়া পর্ষদ সভাপতির কথা রাখতে চায় পর্ষদ। ফাইল চিত্র।
চলতি এপ্রিল মাসের মধ্যেই টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের শংসাপত্র দেওয়ার উদ্যোগ শুরু করল পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ২০১৪ সালের টেটের শংসাপত্র সংক্রান্ত একটি মামলায় পর্ষদ সভাপতিকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশ অনুযায়ী শুক্রবার আদালতে হাজির হয় গৌতম পাল। সেখানেই প্রাথমিক পর্ষদ সভাপতি গৌতম জানিয়েছেন, আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটের শংসাপত্র দেওয়া হবে। তারপরেই এই সংক্রান্ত বিষয়ে উদ্যোগ শুরু করে দিয়েছে পর্ষদ।
পর্ষদ সূত্রে খবর, আর্থিক কিছু সমস্যার কারণে এত দিন পরীক্ষার্থীদের শংসাপত্র দেওয়া সম্ভব হয়নি। আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যেই শংসাপত্র দিয়ে দেওয়া হবে। এর আগে ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটে উত্তীর্ণ সমস্ত চাকরিপ্রার্থীকে শংসাপত্র দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়। সেই সময় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। ওই বছর প্রায় এক লক্ষ ২৫ হাজার পরীক্ষার্থী পাশ করেন। ২০১৭ সালে টেট উত্তীর্ণরা শংসাপত্র না পেয়ে আদালতে মামলা করেন। সেই মামলার নির্দেশ কার্যকর না হওয়ায় পর্ষদ সভাপতিকে তলব করেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বর্তমানে মানিক জেলে রয়েছেন। তাঁর বদলে পর্ষদের দায়িত্ব গৌতমের হাতে। তাই পর্ষদের তরফে হাজির হয়ে টেট পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর আদালতে জানান তিনিই। আর তারপরেই তৎপরতা শুরু হয়েছে পর্ষদে।
চলতি মাসের মধ্যেই ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণদের শংসাপত্র দিতে আদালতে দেওয়া পর্ষদ সভাপতির কথা রাখতে চায় পর্ষদ। তাই আদালতের হাজিরার পরেই প্রক্রিয়া শুরু করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পর্ষদ সভাপতির তরফে। শংসাপত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে যাতে ভুল ত্রুটি না থেকে যায়, সে দিকেও সজাগ দৃষ্টি রেখে চলতে বলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy