Advertisement
E-Paper

ভুটভুটি সংস্কারে নির্মাণ সংস্থাদের সভা ডাকল রাজ্য

সম্প্রতি সরকারি সহায়তায় বেআইনি টোটো-কে ই-রিকশায় পরিণত করার কাজে নেমে সাফল্য পেয়েছে পরিবহণ দফতর। যন্ত্রচালিত নৌকা সংস্কারের ক্ষেত্রেও ওই পথে হাঁটতে চাইছেন পরিবহণ কর্তাদের একাংশ।

দেবজিৎ ভট্টাচার্য

শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০১৭ ০৩:১৫
—প্রতীকী ছবি

—প্রতীকী ছবি

জলপথে দুর্ঘটনা ঠেকাতে যন্ত্রচালিত ভুটভুটির (সেমি মেকানাইজড বোট) আমূল সংস্কারে নামছে রাজ্য সরকার। ভুটভুটির মালিকদের সহজ ঋণের ব্যবস্থা করে বা সরকারি কোষাগার থেকে ভর্তুকি দিয়ে কী ভাবে সেগুলিকে আরও বেশি নিরাপদ করে গড়ে তোলা যায়— তার দিশা খুঁজতে মঙ্গলবার নৌকা নির্মাণ সংস্থাগুলিকে বৈঠকে ডেকেছে পরিবহণ দফতর। সেখানে এ রাজ্যের ১০-১১টি মাঝারি মাপের সংস্থা ছাড়াও কেরল, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রের ১৫টি বড় সংস্থার প্রতিনিধিরা থাকবেন। সূত্রের খবর, রাজ্য সরকারের অধিগৃহীত সংস্থা, রুগ্ণ শালিমার কারখানাকেও বৈঠকে ডেকেছে পরিবহণ দফতর। নদী-নিরাপত্তা প্রকল্পে সামিল করে তাদের ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ করে দিতে চাইছে নবান্ন।

সম্প্রতি সরকারি সহায়তায় বেআইনি টোটো-কে ই-রিকশায় পরিণত করার কাজে নেমে সাফল্য পেয়েছে পরিবহণ দফতর। যন্ত্রচালিত নৌকা সংস্কারের ক্ষেত্রেও ওই পথে হাঁটতে চাইছেন পরিবহণ কর্তাদের একাংশ। দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘সরকারি নির্দেশিকা মেনে একটি যন্ত্রচালিত নৌকা বানাতে পাঁচ লক্ষ টাকার মতো খরচ পড়বে। জলধারা প্রকল্পে এক লক্ষ দেওয়ার পাশাপাশি যদি সহজ কিস্তিতে ঋণের ব্যবস্থা করে দেওয়া যায়, তা হলে মালিকদের চাপ কম পড়বে। এতে অনেকেই উৎসাহ দেখাবেন।’’ যাত্রী নিরাপত্তার স্বার্থে নৌকাতে কী কী বন্দোবস্ত থাকা জরুরি, তা নির্ধারণের জন্য ইতিমধ্যেই একটি কারিগরি কমিটি তৈরি হয়েছে বলে জানান ওই পরিবহণ কর্তা।

রাজ্যে ১৪ হাজারের মতো ভুটভুটি চলে। তার বড় অংশই চলে সুন্দরবনে। রাজ্য সরকারের নয়া বিধি চালু হলে ভুটভুটির চাহিদা আরও বাড়বে বলে মত পরিবহণ কর্তাদের। তাঁদের বক্তব্য, এখন ভুটভুটিতে গাদাগাদি করে লোক ওঠেন। যাত্রী-নিরাপত্তার খাতিরে ভুটভুটিতে যাত্রী-সংখ্যা বেঁধে দিলে স্বাভাবিক ভাবেই এই জলযানের চাহিদা বাড়বে। মূলত সে দিকে তাকিয়েই এ রাজ্যের নৌকা নির্মাণ শিল্পকে ফের চাঙ্গা করতে চাইছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি, বিভিন্ন নদীপথে আরও বেশি সংখ্যায় ভেসেল নামাতে চাইছে নবান্ন। এর জন্য বিশ্বব্যাঙ্কের কাছে ১০০০ কোটি টাকা চেয়েছে পরিবহণ দফতর। সূত্রের খবর, অন্তর্দেশীয় জলপথ পরিবহণ নিগমের মাধ্যমে সেই প্রস্তাব জমা পড়েছে জাহাজ মন্ত্রকে। পরিবহণ কর্তাদের আশা, ওই টাকা পাওয়া গেলে মাসে ৩০-৩৫টি করে নয়া জলযান নামানো যাবে। যান যত বাড়বে, প্রাণ হাতে করে ঝুঁকির পারাপার তত কমবে।

পরিবহণ দফতরের এক কর্তা বলেন, এক সময় নৌকা নির্মাণ শিল্পে হুগলির বলাগড় ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের জগৎজোড়া খ্যাতি ছিল। কিন্তু দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় এঁটে উঠতে না-পেরে সেখানকার অনেকেই অন্য পেশায় চলে গিয়েছে। সেই ক্ষয়িষ্ণু গর্ব ফেরাতে নদী নিরাপত্তা প্রকল্পে বলাগড় ও কাকদ্বীপে নৌকা হাব গড়ে তুলতে চাইছে নবান্ন।

Steamer Construction Company
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy