৪ অক্টোবর রাতে মণীশ শুক্ল খুন হন টিটাগড় থানার কাছেই। তাঁকে গুলি করে খুন করা হয়। নিজস্ব চিত্র।
টিটাগড়ের বিজেপি নেতা মণীশ শুক্ল খুনে রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগ (সিআইডি)-এর জালে এ বার দুই ভাড়াটে খুনি। বিহারের বাসিন্দা ওই দু’জনকে পঞ্জাব থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় আরও চার জনের খোঁজে তল্লাশি চলছে। অভিযুক্তদের ট্রানজিট রিমান্ডে এনে ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হতে পারে বলে সিআইডি সূত্রে খবর।
গত ৪ অক্টোবর রাতে মণীশ শুক্ল খুন হন টিটাগড় থানার কাছেই। তাঁকে গুলি করে খুন করা হয়। সিসিটিভি ফুটেজ থেকে পুলিশ জানতে পারে, ঘটনাস্থলে একটি চায়ের দোকানের সামনে সঙ্গীদের নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন মণীশ। পাশেই বিটি রোডের উপর তাঁর গাড়িটি দাঁড় করানো ছিল। গাড়ির দিকে পেছন ফিরে ছিলেন মণীশ। ঠিক সেই সময়ে তাঁর গাড়ি পেরিয়ে মণীশের মুখোমুখি চলে আসে একটা মোটরবাইক। বাইকে দু’জন ছিল। মণীশ এবং তাঁর সঙ্গীদের লক্ষ্য করে বাইকের পিছনে বসা যুবক গুলি চালায়। তাতে হতচকিত হয়ে যান মণীশের সঙ্গীরা। তত ক্ষণে গাড়ির দরজার আড়ালে মাটিতে পড়ে যান মণীশ।
ওই খুনের ঘটনায় আগেই খুররম, গুলাব শেখকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাদের জেরা করে সুবোধ রায়ে নামে অপর অভিযুক্তকেও পাকড়াও করা হয়। পঞ্জাব থেকে রোশন যাদব, সুদীপকুমার রাইকে গ্রেফতার করা হয়। পাঞ্জাব থেকে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
তারা প্রত্যেকেই ভাড়াটে খুনি বলেই জানা গিয়েছে। তবে, এ বিষয়ে সিআইডি-র তরফে কিছু জানানো হয়নি। সিআইডি-র ডিআইজি প্রণব কুমারের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
মণীশ এবং তাঁর সঙ্গীদের লক্ষ্য করে বাইকের পিছনে বসা যুবক গুলি চালায়। ছবি:সংগৃহীত
আরও পড়ুন: মুকুলকে একুশের ভোটে ‘বড়’ কাজে ব্যবহার করতে চায় বিজেপি
মণীশ খুনে ইতিমধ্যেই বাজেয়াপ্ত হয়েছে একটি মিনি কারবাইন। মনে করা হচ্ছে, মণীশ খুনে ওই আগ্নেয়াস্ত্রটি ব্যবহার করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত হয়েছে তিনটি মোটরবাইকও। সুবোধ ওই ভাড়াটে খুনিদের আশ্রয় দিয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনার পর ভিন্রাজ্যে গা ঢাকা দেয় ভাড়াটে খুনিরা। সিআইডি-র দল ভিন্রাজ্যে তল্লাশি চালাচ্ছিল। অবশেষে জালে পড়ছে তিন জন।
আরও পড়ুন: শাহ-ধনখড় কথায় বাড়ল রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের জল্পনা
ব্যক্তিগত শত্রুতা নাকি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এই খুন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। স্থানীয়দের একটি অংশের দাবি, মণীশকে খুনের পিছনে খুররমের ব্যক্তিগত শত্রুতা থাকতে পারে। তবে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। বিজেপির দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই মণীশকে খুন করা হয়েছে। ঘটনার নেপথ্যে বড় কোনও রাজনৈতিক নেতা জড়িত রয়েছেন বলেও তাদের অভিযোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy