Advertisement
E-Paper

ভয় পাবেন না, কোভিড নিয়ে আতঙ্কের কোনও কারণ নেই! মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়ে বললেন, ‘হাতে গোনা সংক্রমণ দেশে’

দেশে হাতে গোনা কিছু কোভিড সংক্রমণ হচ্ছে এবং তা নিয়ে অযথা উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও কারণ নেই। রাজ্যবাসীকে আশ্বস্ত করে এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, পরিস্থিতি এখনও সেই স্তরে পৌঁছোয়নি।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০২৫ ১৭:০০
নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

কোভিড নিয়ে রাজ্যবাসীকে অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশে সম্প্রতি করোনার সংক্রমণের ঘটনা নিয়ে সোমবার প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে একটি প্রস্তুতি বৈঠকে বসেন মমতা। বৈঠক শেষে নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যবাসীকে আশ্বস্ত করে জানান, পরিস্থিতি এখনও সেই স্তরে পৌঁছোয়নি। সরকারও এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না। তবে যদি কখনও তেমন পরিস্থিতি তৈরি হয়, তার জন্য প্রশাসনিক স্তরে প্রস্তুতি সেরে রাখার জন্যই বিভিন্ন দফতরকে নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন তিনি।

অযথা ভয় না পেয়ে রাজ্যবাসীকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি। মমতা বলেন, “সেই পরিস্থিতি এখনও তৈরি হয়নি। ভারতে ১৩০ কোটি মানুষ বাস করে। তার মধ্যে সারা ভারতে হাতে গুনে ৪-৫ হাজারের মতো কিছু ঘটনা ঘটেছে।” রাজ্যবাসীকে আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, “কোভিড নিয়ে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। প্যানিকড হওয়ার কোনও কারণ নেই। স্বাভাবিক অবস্থাই বজায় থাকবে।”

তবে সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য নিজেদের মতো করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপেরও পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। বিশেষ করে যাঁদের অন্য জটিল রোগ (কোমর্বিডিটি), ফুসফুস বা হৃদযন্ত্রের সমস্যা রয়েছে এবং বয়স্কদের সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জানান, অনেক সময় সর্দিকাশি হলে বুকে কফ জমে থাকলেও শ্বাসকষ্ট হয়। এমন ক্ষেত্রে ডাক্তার দেখিয়ে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করিয়ে নেওয়ারও পরামর্শ দেন মমতা। এ ক্ষেত্রে অযৌক্তিক খরচ এড়াতে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর জন্যও বলেন তিনি।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সর্দিকাশি হলে ডাক্তার দেখান। চেষ্টা করুন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর। তা হলে অকারণে কোনও একটা অসুখের নামে বেশি টাকা খরচ হবে না। যাঁর সত্যিই প্রয়োজন, তাঁকে যা যা দেওয়া দরকার— সবই সরকারি হাসপাতালে আছে।” এখন যে করোনার টিকাও বেরিয়ে গিয়েছে এবং তা ইতিমধ্যে সকলেই নিয়ে নিয়েছেন, সে কথাও উঠে আসে মুখ্যমন্ত্রীর সাংবাদিক বৈঠকে। রাজ্যবাসীকে ভয় না-পাওয়ার অনুরোধ করে মমতা জানান, এটি এক ধরনের ইনফ্লুয়েঞ্জা। তাঁর কথায়, “বর্ষাকালে, শীতকালে একটু সর্দিকাশি হয়। সেটিরও মাত্রা কমে গিয়েছে।”

নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকের সময় উপস্থিত স্বাস্থ্য আধিকারিকদের মধ্যে সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক যোগীরাজ রায়ও ছিলেন। তিনিও আশ্বস্ত করেন করোনার সাম্প্রতিক ভ্যারিয়েন্টটি নিয়ে উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। যোগীরাজ বলেন, “করোনা ভাইরাসের শেষ বড় ঢেউটি হয়েছিল ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের জন্য। সেটিই একটু পাল্টে গিয়ে এটি এসেছে। এটি ওমিক্রনেরই একটি সাব-টাইপ। এটিকে ‘ভ্যারিয়েন্ট অফ কনসার্ন’ (যা থেকে ব্যাপক প্রভাব পড়ে) হিসাবে এখনও উল্লেখ করেনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। সাধারণ সর্দি-কাশি-জ্বরের মতোই এটি হবে এবং দ্রুত চলে যাবে বলেই আশা করছি।”

Mamata Banerjee Covid
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy