Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Shantiniketan

বসন্ত উৎসবে রাজ্য দিচ্ছে ৮২ লক্ষ

বিশৃঙ্খলা এড়াতে এ বারের বসন্তোৎসব আশ্রম মাঠের পরিবর্তে পৌষমেলার মাঠে করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বিশ্বভারতীতে বসন্তোৎসব। —ফাইল চিত্র

বিশ্বভারতীতে বসন্তোৎসব। —ফাইল চিত্র

অনুপ চট্টোপাধ্যায় 
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০০:৫৬
Share: Save:

দীর্ঘ টানাপড়েনের পরে শান্তিনিকেতনের বসন্ত উৎসব নিয়ে জট কেটেছে। ঠিক হয়েছে, দোলের দিনই উৎসব হবে। বিশ্বভারতী উৎসবের সাংস্কৃতিক দিকটি দেখবে এবং প্রশাসন দেখবে শান্তি-শৃঙ্খলা, ভিড় নিয়ন্ত্রণ-সহ বাকি দিকগুলি। এই নিয়ে একাধিকবার বৈঠকেও বসেছে বীরভূম জেলা প্রশাসন। এ বার বসন্ত উৎসব পালনের জন্য রাজ্য সরকার ৮২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করল। শান্তিনিকেতন-শ্রীনিকেতন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (এসএসডি)-র নামে ওই টাকা বরাদ্দ হয়েছে বলে সরকারি সূত্রের খবর।

বিশৃঙ্খলা এড়াতে এ বারের বসন্তোৎসব আশ্রম মাঠের পরিবর্তে পৌষমেলার মাঠে করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী ৯ মার্চ মেলামাঠে ওই অনুষ্ঠানের মণ্ডপ, মাইক, আলো এবং নিরাপত্তার সব রকম ব্যবস্থা করবে শান্তিনিকেতন-শ্রীনিকেতন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (এসএসডিএ) ও জেলা প্রশাসন। মূল অনুষ্ঠান পরিবেশনার দায়িত্ব নেবে বিশ্বভারতী। শুক্রবার রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান, বসন্ত উৎসবের খরচ বাবদ তাঁর দফতর ৮২ লক্ষ টাকা দিচ্ছে। এ দিনই তিনি ওই সংক্রান্ত আবেদনে ছাড়পত্র দেন। বসন্ত উৎসবের জন্য রাজ্য সরকার এত টাকা দিচ্ছে, এমন নজির অতীতে নেই বলেই জানাচ্ছে ওয়াকিবহাল মহল।

গত বছর বসন্ত উৎসবকে ঘিরে শান্তিনিকেতন বেনজির বিশৃঙ্খলার সাক্ষী থেকেছে। বিশ্বভারতী ঠিক করে, দোলের দিন বসন্ত উৎসব করা যাবে না। তা নিয়ে হইচই শুরু হয়ে যায়।

শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে জট কাটে। সরকারি সূত্রের খবর, শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে বিশ্বভারতী অনুরোধ করেন, বসন্ত উৎসব পালনে রাজ্য সরকারের সহায়তা পেলে ভাল হয়। এর পরেই ঠিক হয়, এ বার মেলামাঠে ওই উৎসব হবে।

সম্প্রতি জেলা পুলিশ-প্রশাসন, এসএসডিএ এবং বিশ্বভারতী কতৃর্পক্ষের মধ্যে বৈঠক হয়। বিষয়টি জানানো হয় পুরমন্ত্রীকেও। ঠিক হয় এসএসডিএ সেই খরচ বহন করবে। অনুষ্ঠান পরিচালনার জন্য কী কী করতে হবে তার একটি তালিকা গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বিশ্বভারতীর পক্ষ থেকে জেলা শাসকের দফতরে

পাঠানো হয়। এসএসডিএ-র চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ এ দিন জানান, জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বিশ্বভারতীর আলোচনার ভিত্তিতে এসএসডি-এর পক্ষ থেকে পুরমন্ত্রীর কাছে অর্থসাহায্যের আবেদন জানানো হয়েছিল।

সূত্রের খবর, পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরে পাঠানো খরচের তালিকা অনুসারে মণ্ডপ, আলো, মাইক, অতিথিদের বসার জায়গা, পুলিশের বুথ, নজরদারি ক্যামেরা, ড্রোন ক্যামেরা সবই ধরা রয়েছে। বিভিন্ন খাতে মোট ৮২ লক্ষ টাকার দেওয়ার আবেদন জানানো হয়।

শুক্রবার মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন। পুরমন্ত্রীর কথায়, ‘‘ঐতিহ্যবাহী বসন্ত উৎসব বহু মানুষের প্রিয়। বিশ্বভারতীর পক্ষ থেকে ওই উৎসব পরিচালনায় সরকারের কাছে সহায়তা চাওয়া হয়েছিল। তা করা হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Shantiniketan Basanta Utsav
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE