রাজ্যের ভোল বদলেই জাতীয় সড়কের জমি জটিলতা কাটার পথ খুঁজে পেল ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি।
গত ছ’মাসে রাজ্যে প্রশাসনের এই ভোল বদলে বিভিন্ন প্রকল্প চালু করার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে বলে দাবি করেছেন ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি কর্তৃপক্ষ।
কর্তৃপক্ষের এক অফিসার জানান, এ রাজ্যে হাইওয়ে অথরিটির বিভিন্ন প্রকল্পে জমির প্রয়োজন। জমি চিহ্নিতও হয়ে আছে। কিন্তু সেই সব জমির জন্য কোটি কোটি টাকা দাবি করে এসেছে রাজ্য প্রশাসন।
তাঁদের দাবি, সারা দেশে কেরল ও পশ্চিমবঙ্গে এই সমস্যা রয়েছে। অথচ নিয়ম অনুসারে সরকারি প্রকল্পের কাজে সরকারি জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে কোনও অর্থব্যয় করতে হবে না কেন্দ্রীয় সরকারকে।
বাম আমল থেকে বর্তমান তৃণমূল সরকারের আমলে প্রায় ২০০ কোটি টাকা সরকারি জমি অধিগ্রহণে দাবি করেছিল রাজ্য সরকার।
বর্তমানে সেই অবস্থান থেকে সরে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকার।
এর ফলে এক লহমায় মিটে যেতে চলেছে দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ থাকা রায়গঞ্জ-ডালখোলা হাইওয়ে, বহরমপুর বাইপাস-সমেত একাধিক প্রকল্পের কাজ। ফরাক্কা-রায়গঞ্জ রুটে হাইওয়ে প্রকল্পে জমি জটিলতা অবশ্য এখনও কাটেনি বলেই জানান ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি কর্তৃপক্ষ।
বুধবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় পরিবহণমন্ত্রী নিতিন গড়কড়ি জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সহযোগিতা করা হবে। ইতিমধ্যে সড়ক উন্নয়নে টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রয়োজনে আরও সহযোগিতা করা হবে।
পাশাপাশি বারাণসী থেকে হলদিয়া ও কলকাতা পর্যন্ত প্রায় ১৬২০ কিলোমিটার নদীপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা থেকে শুরু করে জাতীয় সড়কের সম্প্রসারণ প্রকল্পগুলির কাজও শেষ করা হবে।
আরও খবর
মমতার প্রশাসনিক বৈঠকে স্পষ্ট, অগ্রাধিকারে কন্যাশ্রী, যুবশ্রী প্রকল্প
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy