নির্বাচন ঘোষণার আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার। এ বার সরকারি কর্মচারী এবং পেনশনভোগীদের জন্য ‘ক্যাশলেস’ স্বাস্থ্য বিমার পরিধি বাড়ানো হচ্ছে।
সরকারি কর্মচারীদের জন্য স্বাস্থ্য বিমায় এত দিন এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা-ব্যয় ক্যাশলেস ছিল। নথিভুক্ত কিছু হাসপাতালে চিকিৎসা করালে এই সুবিধা মিলত। চিকিৎসার খরচ এক লক্ষ টাকা ছাড়িয়ে গেলে অতিরিক্ত অর্থ উপভোক্তাকে দিতে হত। পরে নিজের দফতরে সেই নথি পেশ করলে অতিরিক্ত অর্থ ফেরত পেতেন উপভোক্তা। চিকিৎসার খরচ এক লক্ষ টাকার মধ্যে থাকলে উপভোক্তাকে হাসপাতালে কোনও অর্থ দিতে হত না। কিন্তু খরচ এক লক্ষ ১০ হাজার টাকা হলে বাড়তি ১০ হাজার টাকা দিতে হত উপভোক্তাকে। পরে তা ফেরত পাওয়া যেত। তবে অর্থ দফতরের অনুমোদন নিয়ে এই ফেরতের প্রক্রিয়ায় বেশ সময় লাগত।
নতুন নির্দেশিকায় ক্যাশলেসের এক লক্ষের সঙ্গে আরও ৫০ হাজার যুক্ত করেছে অর্থ দফতর। তৃণমূল প্রভাবিত পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কর্মচারী ফেডারেশনের দাবি, নতুন ব্যবস্থায় চিকিৎসার খরচ দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত হলে উপভোক্তাকে হাসপাতালে কোনও অর্থ দিতে হবে না। এই বিমা প্রকল্পের আওতায় পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে নথিভুক্ত হাসপাতালগুলি সরকারি ভাবে ধার্য চিকিৎসা-ব্যয় বিধিই মেনে চলে। তাই দেড় লক্ষ টাকার ক্যাশলেস সুবিধা খুবই কার্যকর হবে। সংগঠনের মেন্টর গ্রুপের অন্যতম নেতা মনোজ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ক্যাশলেস চিকিৎসার সুবিধা দিতে আমাদের সংগঠনই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি জানিয়েছিল। ২০১৪ সালে এটা চালু হয়। ক্যাশলেসের সীমা বাড়ায় কয়েক লক্ষ বর্তমান এবং প্রাক্তন সরকারি কর্মচারী উপকৃত হবেন।’’
বিরোধী আইএনটিইউসি সমর্থিত কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের নেতা মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘নির্দিষ্ট সময়ে এবং হারে মহার্ঘ ভাতা পাওয়া গেলে এই সীমা বাড়ানোর দরকারই হত না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy