ছিলেন বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার ডিরেক্টর। সংস্থা পাততাড়ি গোটাতেই গা-ঢাকা দিয়েছিলেন মুম্বইয়ে। পুরনো ঠাটবাট ভুলে বেসরকারি সংস্থায় সাধারণ চাকরি জুটিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হল না। বছর দুয়েক পালিয়ে থাকার পরেও গোয়েন্দাদের জালে ধরা পড়ে গেলেন অর্থলগ্নি সংস্থা ‘বিশাল গ্রুপ অব কোম্পানিজ’-এর অন্যতম ডিরেক্টর কুন্তল ভট্টাচার্য।
সিআইডি জানিয়েছে, শুক্রবার মুম্বইয়ে গ্রেফতার করা হয় কুন্তলকে। বাণিজ্যনগরীর আদালতে তাঁকে হাজির করে ট্রানজিট রিমান্ড নেওয়া হয়েছে। আজ, রবিবার কুন্তলকে নিয়ে শহরে পৌঁছচ্ছে সিআইডি-র দল।
গোয়েন্দাদের দাবি, ওই অর্থলগ্নি সংস্থা এবং কুন্তলের বিরুদ্ধে চাকদহ থানায় প্রতারণার মামলা রয়েছে। ২০১৫ সালে সংস্থাটির একাধিক কর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাঁদের বিরুদ্ধে চার্জশিটও দেওয়া হয়েছে। তদন্তকারী এক অফিসারের কথায়, ‘‘কুন্তলের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত এখনও চলছে।’’
সম্প্রতি রোজ ভ্যালির তদন্ত নিয়ে সক্রিয় হয়েছে সিবিআই। তৃণমূলের দুই সাংসদকে গ্রেফতারও করেছে। তা নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের শাসক দলের তরজা চরমে উঠেছে। এরই মধ্যে বিশাল গোষ্ঠীর ফেরার কর্তাকে গ্রেফতারের ঘটনাও যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে দাবি করছেন গোয়েন্দারা।
সিআইডি সূত্রের খবর, ২০১৪ ও ২০১৫-য় নদিয়ার চাকদহে প্রায় তিনশো কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগে আমানতকারীরা দু’টি মামলা করেন। তাতে অভিযুক্ত হিসেবে নাম ছিল ‘বিশাল গ্রুপ অব কোম্পানিজ’-এর ডিরেক্টরদের। তদন্ত শুরু হতেই ২০১৫-এর প্রথম দিকে গা ঢাকা দেন কুন্তল। বন্ধ হয়ে যায় তাঁর মোবাইল ফোনটি। পালিয়ে থাকার সময়ে সিমকার্ড বদলানোয় তাঁর খোঁজ পাচ্ছিলেন না গোয়েন্দারা। এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘কুন্তল অন্তত আট বার মোবাইল ফোন ও সিমকার্ড বদলেছেন বলে আমরা জেনেছি।’’
তদন্তকারীরা জানান, মাসখানেক আগেই দক্ষিণ শহরতলির নেতাজিনগর থেকে সুমন্ত্র মোদক নামে বিশাল গ্রুপের সঙ্গে জড়িত এক ব্যক্তিকে পাকড়াও করা হয়। তাঁকে জেরা করতে গিয়েই কুন্তলের খোঁজ মেলে। ওই ব্যক্তি তদন্তকারীদের জানান, নবি মুম্বইয়ের পানভেলে একটি আবাসনে ভাড়া থাকছেন কুন্তল। একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরিও করছেন তিনি। এর পরেই গোয়েন্দারা সেই আবাসনে হানা দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy