প্রতীকী চিত্র।
জেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করছেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের দল (টিম পিকে)। শনিবার পাঁশকুড়ার রাতুলিয়ায় ব্লকের ১৪টি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান এবং তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিদের নিয়ে বৈঠক সারেন টিম পিকে।
দলীয় সূত্রের খবর, স্থানীয় নেতা কুরবান শা’র খুনের ঘটনাকে সামনে রেখে মাইশোরায় তৃণমূলকে শক্তিশালী করতে এবার ঘুঁটি সাজাচ্ছে টিম পিকে। এ দিনের বৈঠকে পিকে’র প্রতিনিধিদের প্রথম নজর ছিল কুরবানের এলাকা মাইশোরা। গত অক্টোবরে কুরবানের খুনের পরে তাঁর দাদা আফজলকে মাইশোরায় দলের কোর কমিটির প্রধান করা হয়। এ দিন তাঁর কাছ থেকে পিকের প্রতিনিধিরা মাইশোরার খুঁটিনাটি জেনে নেন। কুরবান খুন হওয়ার পর এই প্রথম বার পিকের টিমের প্রতিনিধিরা ডেকে পাঠিয়েছেন নিহত নেতার দাদাকে। যা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
গত লোকসভা নির্বাচনে পাঁশকুড়া পশ্চিম বিধানসভায় তৃণমূলের থেকে প্রায় তিন হাজার ভোটে এগিয়ে ছিল বিজেপি। মাইশোরাতেও তৃণমূলকে পিছনে ফেলে দেয় তারা। কিন্তু কুরবান খুনে নাম জড়িয়েছিল বিজেপি নেতা আনিসুর রহমানের। তিনি এখন জেলবন্দি। খুনের পর থেকে পাঁশকুড়া এলাকায় বিজেপির প্রকাশ্য কর্মসূচি কার্যত বন্ধ। দলীয় সূত্রের খবর, এই পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে পাঁশকুড়া পশ্চিম বিধানসভার মধ্যে মাইশোরাকে পাখির চোখ করতে চাইছে টিম পিকে।
এ দিনের বৈঠকটি হয়েছে রাতুলিয়ায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে। শীঘ্রই পাঁশকুড়া পশ্চিম বিধানসভা এলাকায় শুরু হবে দলের লাগাতার কর্মসূচি। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি দীপ্তি জানা বলেন, ‘‘কুরবানের খুনের ঘটনাই প্রমাণ করে বিজেপি কতটা নৃশংস। এ দিন পিকের টিমের প্রতিনিধিরা ব্লকের কর্মকর্তাদের নিয়ে বসেছিলেন। তাঁরা প্রথমেই মাইশোরা সম্পর্কে খুঁটিনাটি জেনেছেন। এবার ব্লক জুড়ে লাগাতার কর্মসূচি নেওয়া হবে। কুরবানের খুনের প্রতিবাদ আছড়ে পড়বে ইভিএমে। শুধু সময়ের অপেক্ষা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy