দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। আইন-শৃঙ্খলার বালাই নেই। এখানে একটাই পার্টি, তৃণমূল। সেই পার্টিতেও গণতন্ত্র নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্ত পোস্টকে ডেমলিশ করে, একাই নেত্রী, একটাই পার্টি, ওয়ান ম্যান পার্টি হয়ে গেছে। এটা দেখেই বোঝা যায় রাজ্যের মানুষের অবস্থা কী!’’
দিলীপকে ঘিরে অভিনব বিক্ষোভ তৃণমূলের নিজস্ব চিত্র।
সকালেই কাঁথি পুরভোটে প্রচার করার সময় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ঘিরে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান উঠেছিল। দুপুরে বিজেপি-র প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ পড়লেন অভিনব বিক্ষোভের মুখে। দুধ থেকে সোনার আংটি তুলে ধরে অভিনব কায়দায় দিলীপকে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল। ঘটনাস্থল মধ্যমগ্রাম।
শুক্রবার মধ্যমগ্রাম পুরসভায় দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচারে আসেন বিজেপি-র কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মধ্যমগ্রাম আরতি সিনেমা হল সংলগ্ন এলাকায় আসেন দিলীপ ঘোষ, সেখানে পুরসভার ১৮, ১৯ ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থীদের জয়ী করার আহ্বান জানান। পাশাপাশি তীব্র আক্রমণ শানান তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে। তবে এ দিন প্রচারের সব আলো শুষে নেয় তৃণমূলের বিক্ষোভ।
দিলীপ আসছেন শুনেই সকাল থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। প্রথমেই বিজেপি-র ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানের পাল্টা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিতে শুরু করেন উপস্থিত তৃণমূল কর্মীরা। কিছুক্ষণের মধ্যে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান থামিয়ে বিজেপি ‘বন্দে মাতরম’ স্লোগান দিতে শুরু করে। তাতে গলা মেলান তৃণমূল কর্মীরা। সেই সময় এলাকায় পৌঁছয় দিলীপের গাড়ি। তৃণমূল কর্মীরা দুধের প্যাকেট থেকে দুধ ফেলে তা থেকে সোনার আংটি তুলে দিলীপকে দেখাতে থাকেন। গাড়ি ঘিরে চলতে থাকে জয় বাংলা স্লোগান।
তৃণমূল কর্মীদের এই কায়দায় বিক্ষোভ দেখে হেসে কুটোপাটি এলাকার বাসিন্দারা। যদিও দিলীপ ঘোষের মুখে হাসি ফোটেনি। তিনি স্বভাবসিদ্ধ কায়দায় তৃণমূল সরকারের দিকে আক্রমণ শানিয়েছেন। দিলীপ বলেন, ‘‘পুলিশ দিয়ে নির্দল প্রার্থীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বিজেপি-র যাঁরা নির্দলে দাঁড়াচ্ছেন, তাঁদের বলা হচ্ছে, তোরা নির্দলে থাক, যদি তুলে নিস তাহলে জেলে ঢুকিয়ে দেব। পুলিশ দিয়ে ভোটে জেতার চেষ্টা করছে শাসক দল।’’ তাঁর আরও অভিযোগ, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। আইন-শৃঙ্খলার বালাই নেই। এখানে একটাই পার্টি, তৃণমূল। সেই পার্টিতেও গণতন্ত্র নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্ত পোস্টকে ডেমলিশ করে, একাই নেত্রী, একটাই পার্টি, ওয়ান ম্যান পার্টি হয়ে গেছে। এটা দেখেই বোঝা যায় রাজ্যের মানুষের অবস্থা কী!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy