প্রতীকী ছবি।
২০১৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটে ৪০০ জন পর্যবেক্ষক ছিলেন। নির্বাচন দফতর সূত্রের খবর, আসন্ন ভোটে সেই সংখ্যা এক লাফে অর্ধেক হতে চলেছে। কারণ, ১৭১ ডব্লিউবিসিএস এবং ২০ জন আইএএসের তালিকা তৈরি হয়েছে। সে-ক্ষেত্রে দু’টি ব্লক-পিছু এক জন পর্যবেক্ষক থাকতে পারেন। জেলায় এক জন করে আইএএস অফিসারকে পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।
পর্যবেক্ষক কমানোর উদ্যোগের সমালোচনার সঙ্গে সঙ্গে স্পর্শকাতর, অতি-স্পর্শকাতর চিহ্নিত না-হওয়ায় প্রশ্ন তুলছে বিরোধী শিবির। সোমবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হলেও স্পর্শকাতর, অতি-স্পর্শকাতর এবং সাধারণ বুথ চিহ্নিত করে উঠতে পারেনি রাজ্য নির্বাচন কমিশন! ওই তালিকা তৈরি করেন জেলাশাসক এবং জেলা পুলিশ সুপারেরা। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, তা তৈরি করার জন্য সবেমাত্র জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। সেই তালিকা কবে তাদের কাছে আসবে, কমিশনের কাছেও সেটা স্পষ্ট নয়। সাধারণত নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগে প্রাথমিক তালিকা তৈরি হয়। তবে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর্বের মধ্যেও এই তালিকার পরিবর্তন হতে পারে। এ দিন বিকেল রাজ্য নির্বাচন কমিশনার অমরেন্দ্র কুমার সিংহের সঙ্গে বৈঠক করেন এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) অনুজ শর্মা। কিন্তু সেখানে কিছুই চূড়ান্ত হয়নি।
১ মে দক্ষিণবঙ্গের ১২টি জেলায় ভোট হওয়ার কথা। সেখানে ২০১৩ সালের নির্বাচনে এক লক্ষ ৬২ হাজার নিরাপত্তারক্ষী দায়িত্বে ছিলেন। তার মধ্যে দফাওয়াড়ি ৩৫ হাজার রাজ্য পুলিশ আর দফাওয়াড়ি ১৫ থেকে ২৫ হাজার কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন ছিল। এ বার রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ৪৬ হাজার পুলিশ দেওয়া হতে পারে। তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। তাঁদের প্রশ্ন, কমিশন এখনও স্পর্শকাতর, অতি-স্পর্শকাতর বুথের তালিকা তৈরি করতে পারেনি। তা হলে নিরাপত্তাকর্মী নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা হবে কী ভাবে?’’ সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, ২০১৩ সালের সঙ্গে চলতি বছরের ভোটে এক লক্ষের বেশি রক্ষীর ফারাক থাকতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy