Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪
State News

খাদানে খোঁজ নেই আরও শ্রমিকের, শঙ্কা রামপুরহাটে

শিকারিপাড়া থানা এলাকায় পাথর খাদানে বিস্ফোরণে মৃত ও আহতদের নিয়ে আসা হচ্ছে রামপুরহাট হাসপাতালে। তা শুনে মহম্মদবাজারের ভাড়কাটা, গণপুর, মাসড়ার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দারা হাসপাতালে ভিড় জমাতে শুরু করেন। খবর গিয়েছিল ঝাড়খণ্ডের পাকুড়েও। রাতের ট্রেন ধরে সেখান থেকেও রামপুরহাটে চলে আসেন অনেকে।

বিস্ফোরণে ছিটকে পড়ে একাধিক শ্রমিকের দেহ। —নিজস্ব চিত্র।

বিস্ফোরণে ছিটকে পড়ে একাধিক শ্রমিকের দেহ। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রামপুরহাট শেষ আপডেট: ১১ মে ২০১৮ ০১:০৮
Share: Save:

সকাল থেকেই ঝাড়খণ্ড সীমানাঘেঁষা মহম্মদবাজার সহ রামপুরহাটের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছিল সেই খবর। শিকারিপাড়া থানা এলাকায় পাথর খাদানে বিস্ফোরণে মৃত ও আহতদের নিয়ে আসা হচ্ছে রামপুরহাট হাসপাতালে।

তা শুনে মহম্মদবাজারের ভাড়কাটা, গণপুর, মাসড়ার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দারা হাসপাতালে ভিড় জমাতে শুরু করেন। খবর গিয়েছিল ঝাড়খণ্ডের পাকুড়েও। রাতের ট্রেন ধরে সেখান থেকেও রামপুরহাটে চলে আসেন অনেকে।

মহম্মদবাজার থানার চাঁদা গ্রামের বাসিন্দা কার্তিক বিত্তল জানান, বুধবার রাত ৯টা নাগাদ তাঁদের গ্রামে খবর আসে, ভাড়কাটা থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে ঝাড়খণ্ডের শিকারিপাড়া থানার কুলকলিতে পাথর খাদানে বিস্ফোরণে ওই গ্রামের রাকেশ রায় মারা গিয়েছে। রাস্তা খারাপ থাকায় রাতে গ্রাম থেকে কেউ সেখানে যেতে পারেননি। ভোরে গ্রামবাসীরা জানতে পারেন, মৃতদেহ রামপুরহাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার পরই সবাই পৌঁছন সেখানে। কার্তিক জানান, রাকেশ ওই খাদানে বছরখানেক ধরে মাটি কাটার যন্ত্র চালানোর কাজ করতেন।

পাকুড় থানার গোঁদাইপুর এলাকার বাসিন্দা লাদেন শেখের মামাতো দাদা সালিউলা শেখও এসেছিলেন রামপুরহা হাসপাতালে। তিনি বলেন, ‘‘সকলেই ট্রেন ধরে রামপুরহাটে চলে এসেছি। মৃতদেহগুলি শনাক্ত করা যাচ্ছিল না। ভাইয়ের মুখের কিছুটা দেখে চিনতে পারি।’’ সালিউলা আরও জানান, ওই খাদানে লাদেনের আরও ভাই সাফিউল শেখও শ্রমিক ছিলেন। কিন্তু সাফিউলের হদিস এখনও মেলেনি। স্থানীয় সূত্রে খবর, রামপুরহাট থানার মাসড়া অঞ্চলের সেনবাঁধা গ্রামের এক জন ওই খাদানে কাজ করতেন। তাঁরও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। অন্য দিকে বিস্ফোরণে মৃত বিমল ভাণ্ডারির পরিবার আজ সকালে জানতে পারেন মৃতদেহ রামপুরহাট হাসপাতালে রাখা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE