প্রবল বিতর্কের পরে পুলিশ হুটহাট বিমানবন্দরের এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল বা এটিসি-তে ঢুকে পড়ার প্রবণতা নিয়ন্ত্রণ করলেও সমস্যা যে মেটেনি, সেটা স্পষ্ট করে দিল দিল্লির একটি চিঠি। পুলিশ যে-ভাবে কলকাতা বিমানবন্দরের টাওয়ারে ঢুকে পড়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিমানের উপরে নজরদারির চেষ্টা করেছিল, তা আইনবিরুদ্ধ বলে রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে দিল্লি।
বিমানবন্দরে নিরাপত্তা দেখভাল করে বিমান মন্ত্রকের অধীন ব্যুরো অব সিভিল অ্যাভিয়েশন সিকিওরিটি (বিসিএএস)। কারা বিমানবন্দরে ঢোকার পরিচয়পত্র পাবেন, তারাই সেটা ঠিক করে। সেই বিসিএএস-এর ডিরেক্টর জেনারেল কুমার রাজেশ চন্দ্রই চিঠি লিখেছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি সুরজিৎ কর পুরকায়স্থকে। ‘‘চিঠি পেয়েছি। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটকে বিষয়টি দেখতে বলা হয়েছে,’’ বলেন নবান্নের এক শীর্ষ পুলিশকর্তা।
২০১৬-র ৩০ নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে পটনা থেকে এসে কলকাতায় নামার আগে চক্কর কাটে ইন্ডিগোর বিমান। সেই বিমানের জ্বালানি ফুরিয়ে আসছিল বলে বিস্তর হইচই হয়। মামলা করে পুলিশ। সংসদে আলোচনা হয় এবং তদন্তের পরে বসিয়ে দেওয়া হয় তিন পাইলটকে। গত ৯ ফেব্রুয়ারি মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে বাগডোগরা থেকে কলকাতায় নামার আগে আবার চক্কর কাটতে হয় ইন্ডিগোর বিমানকে। ক্ষুব্ধ হন মুখ্যমন্ত্রী। ২৩ ফেব্রুয়ারি বাগডোগরা থেকে মুখ্যমন্ত্রী যখন কলকাতায় ফিরছিলেন, তখন চার পুলিশ অফিসার পৌঁছে যান এটিসি-র টাওয়ারে। পুলিশের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীর বিমানকে যাতে চক্কর কাটতে না-হয়, মূলত তা দেখাই ছিল ওই অফিসারদের উদ্দেশ্য।