রবিবার পরিবহণও প্রায় স্বাভাবিক রইল শহরে। আসানসোল শহরে ঢোকার মুখে কালীপাহাড়ি মোড়। নিজস্ব চিত্র
গত কয়েক দিন মাছের জোগান থাকলেও বিক্রিবাটা সে রকম হয়নি আসানসোল মূল বাজারের আড়তগুলিতে। ফলে ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা ছিল, মাছ নষ্ট হয়ে যাবে না তো! শেষমেশ রবিবার দেখা গেল, আড়তের সামনে লম্বা লাইন। হাসি ফুটল আড়তদারদের মুখেও। শুধু আড়তই নয়, শহরে যাবতীয় পরিষেবা প্রায় স্বাভাবিক ছিল বলে খবর প্রশাসন সূত্রে।
গত কয়েক দিন গোলমালের সময়েও খুলেছিল মাছের আড়ত। কিন্তু দেখা মেলেনি জামুড়়িয়া, রানিগঞ্জ, কুলটি, বার্নপুর খুচরো মাছ-ব্যবসায়ীদের। এ দিন তাঁরা এসেছেন। আর তা দেখেই আড়তদার মহম্মদ ইলিয়াস বলেন, ‘‘দিঘা ও অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে মাছের গাড়ি ঢুকেছে। সাধারণ দিনের মতো এ দিনও সাত টন মাছ ঢুকেছে বাজারে। বিক্রিও হয়েছে বেশ ভালই।’’
সমস্যা হয়েছিল আনাজ বাজারেও। ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে জোগান ঠিক না থাকায় আলু, পটলের দর বেড়েছিল এক লাফে অনেকখানি। তবে এ দিন পুরুলিয়া ও বার্নপুর লাগোয়া কিছু গ্রাম থেকে আনাজ আসানসোলে এসেছে। থলি ভরে বাজার করে খুশি আসানসোলের এসবি গড়াই রোডের বিষ্ণু দে।
বাস পরিষেবাও স্বাভাবিক। যাত্রী সংখ্যা গত কয়েক দিনের তুলনায় রবিবার বাড়লেও তা আশানুরূপ নয় বলেই জানান পরিবহণ ব্যবসায়ীরা। তবে আসানসোল মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সুদীপ রায় বলেন, ‘‘অন্যান্য কয়েক দিনের তুলনায় যাত্রী বেড়েছে। আশা করি, আগামী দিনে তা আরও বাড়বে।’’
চৈত্র সেলের ভিড় দেখা গিয়েছে আসানসোল স্টেডিয়াম লাগোয়া ও সৃষ্টিনগরের দু’টি শপিং মলেও। একাধিক যুবক-যুবতীকে প্রতি দিনের মতোই শপিং মলের সামনে আড্ডা জমাতে এবং নিজস্বী তুলতে দেখা গিয়েছে। কল্যাণপুরের বাসিন্দা রায়া সেনগুপ্ত নামে এক তরুণী বলেন, ‘‘এই শহর সবসময়েই নিরাপদ। কয়েক দিন বাদে বন্ধুদের সঙ্গে বেরোতে পেরে খুবই ভাল লাগছে।’’
এটিএম পরিষেবাও ছিল স্বাভাবিক। শহরের বাসিন্দা, কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মী বিজয় চৌধুরী নামে এক জন বলেন, ‘‘মাসের প্রথম দিন। তাই টাকা দরকার। আশঙ্কা ছিল পাব কি না, কিন্তু টাকা পেতে কোনও অসুবিধা হয়নি।’’ তবে আজ, সোমবার রাত ১২টা পর্যন্ত আসানসোল উত্তর, আসানসোল দক্ষিণ এবং রানিগঞ্জ থানা এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি থাকছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy