পিন্টু সাউ।
তামিলনাড়ু থেকে ছেলের চিকিৎসার পর বাড়ি ফিরছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার বাসিন্দা পিন্টু সাউ। অভিযোগ, তিরুনেলভেলি-হাওড়া এক্সপ্রেসের মধ্যেই কালো মাকড়সার মতো দেখতে কিছু একটা কামড়ায় তাঁকে। পিন্টুর পরিবারের অভিযোগ, বিষয়টি জানানো হলেও রেলের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। পরে এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় পিন্টুকে। পরিবারের দাবি, সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
মৃতের স্ত্রী প্রণতী সাউ জানান, ট্রেন চেন্নাইয়ে ঢোকার কিছু আগে হঠাৎ ঘুমের মধ্যে চিৎকার করে ওঠেন পিন্টু। প্রমতির কথায়: ‘‘চিৎকারে ঘুম ভেঙে যায়। কালো মাকড়সার মতো কিছু একটা দেখতে পাই। টিটি-কে এ ব্যাপারে বলার পরেও চিকিৎসার কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি।’’ তিনি বলেন, ‘‘অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে সারা ক্ষণ বসে থাকি আমরা। ওডিশা ঢোকার আগে এক জন ডাক্তার আসেন। ওষুধ দিয়ে চলে যান। বলেন, ‘কিছু হয়নি। ঠিক হয়ে যাবে।’’
মৃতের পরিবারের দাবি, ওষুধে কোনও উপকার হয়নি। ফলে বাধ্য হয়ে রবিবার রাতে খড়্গপুর নেমে এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় পিন্টু সাউয়ের।
আরও পড়ুন: ভেজাল কি পনিরেও, উঠছে প্রশ্ন
যদিও বিষাক্ত পোকা কামড়ানোর অভিযোগ পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছেন এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের সহকারী সুপার রাজেশ জানা বলেন, ‘‘ওই ব্যক্তি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। তাঁর হাই ব্লাড সুগার। পায়ে সেপ্টিক হয়েছিল। সেই কারণেই মৃত্যু হয় পিন্টুর।’’ মাকড়সা, এমনকী কোনও পোকাও তাঁকে কামড়ায়নি বলে জানিয়েছেন সহকারী সুপার।
আরও পড়ুন: হোমে এগারো বছরের ছেলেকে বেত দিয়ে মার
গোয়ালতোড়ে এই মাকড়শাটিকে দেখেই আতঙ্ক ছড়ায়।— নিজস্ব চিত্র।
এরই পাশাপাশি, পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদার সবুজ পল্লিতে ট্যারেন্টুলার আতঙ্ক ছড়ানোর খবর পাওয়া যায়। রবিবার রাতে স্থানীয় বাসিন্দা মদন দাসের স্ত্রীর গায়ে ট্যারেন্টুলা কামড়ায় বলে দাবি করা হয়। একই ভাবে গোয়ালতোড়ের কেয়াকোল গ্রামীণ হাসপাতালের চক্ষু বিভাগের সামনে কালো রঙের মাকড়সা দেখা গেলে আতঙ্ক ছড়ায়। স্থানীয়দের দাবি, ওটা ট্যারেন্টুলা ছিল। যদিও পরীক্ষার আগে এ বিষয়ে কিছু জানাতে চায়নি বন দফতর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy