Advertisement
E-Paper

ঘূর্ণাবর্তের মেঘপুঞ্জ থেকে হতে পারে বৃষ্টি

মঙ্গলবার সকাল থেকে মেঘলা আকাশ আর দমকা হাওয়ায় দিনের তাপমাত্রা বাড়তে পারেনি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ মে ২০১৮ ০২:১৮
ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

এপ্রিলে কয়েকটা দিন চাঁদিফাটা রোদ এবং দাপুটে দহনে নাকাল হতে হয়েছিল। কিন্তু মে মাসের শুরুতে চেনা ছন্দে পাওয়া যাচ্ছে না গরমকে। তার বদলে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে যেন বর্ষার মেজাজই ধরা পড়ছে!

মঙ্গলবার সকাল থেকে মেঘলা আকাশ আর দমকা হাওয়ায় দিনের তাপমাত্রা বাড়তে পারেনি। আবহবিদেরা জানান, বিহার ও লাগোয়া বাংলা এবং ঝাড়খণ্ডের উপরে থাকা একটি ঘূর্ণাবর্তের জেরেই এই পরিস্থিতি। তার উপরে ঘূর্ণাবর্ত থেকে দক্ষিণবঙ্গের উপর দিয়ে মণিপুর পর্যন্ত একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা বিস্তৃত রয়েছে। সেটি অকালবর্ষার ছবিটায় বাড়তি রং চড়াচ্ছে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, আজ, বুধবার পর্যন্ত এমন পরিস্থিতি চলবে।

আবহাওয়া দফতরের ব্যাখ্যা, ঘূর্ণাবর্ত আর নিম্নচাপ অক্ষরেখার প্রভাবে সাগর থেকে অতিরিক্ত জলীয় বাষ্প ঢুকছে দক্ষিণবঙ্গে। তা ঘনীভূত হয়ে মেঘ তৈরি করছে। তা থেকে স্থানীয় ভাবে মেঘপুঞ্জ তৈরি হয়ে ঝড়বৃষ্টি হতে পারে। জোরে হাওয়া বইতে পারে উপকূল এলাকায়। তাই ধীবরদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।

এ বছর বেশি গরমের পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। এপ্রিলের কয়েকটা দিন বাদ দিলে সেই পূর্বাভাস কিন্তু এখনও মিলছে না। আবহবিদদের একাংশ বলছেন। এ বছর পরপর ঝড়বৃষ্টি হয়েছে ও হচ্ছে। তার উপরে পরের পর ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়ে চলেছে। এগুলি আকস্মিক ঘটনা, যা মৌসম ভবনের গণনায় ধরা পড়েনি। তবে অতিরিক্ত গরমের পূর্বাভাস না-মেলায় বঙ্গবাসী স্বস্তিতে। অনেকেই বলছেন, এমন নরম-গরম চলতে চলতেই যদি বর্ষা এসে যায় তো ক্ষতি কী!

আবহবিদেরা অবশ্য ততটা আশ্বাস দিতে পারছেন না। তাঁরা জানাচ্ছেন, নির্ঘণ্ট মেনে বর্ষা আসতে এখনও প্রায় ৪০ দিন বাকি। কিন্তু এই ঘূর্ণাবর্তের প্রভাব তত দিন থাকবে না। ফলে এই পরিস্থিতি কাটলে গ্রীষ্ম তার রুদ্ররূপ দেখাতেই পারে।

Weather Update Rain Thunderstorm Depression ঘূর্ণাবর্ত
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy