এক মঞ্চে মমতা, হাসিনা, মোদী এবং কেশরী।
রবি ঠাকুরের বিশ্বভারতীতে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখে বাংলা। কোনও স্ক্রিপ্ট ছাড়াই তিনি যখন ভাঙা ভাঙা বাংলায় বলে চলেছেন গড়গড়িয়ে, সেই সময় দর্শকাসনে উচ্ছ্বাস। বিশ্বভারতীতে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মোদী বলেন, ‘‘কবিগুরুর স্মৃতি বিজড়িত শান্তিনিকেতনে এসে আমি শান্তি ও আনন্দ অনুভব করছি।’’
বিশ্বভারতীতে মোদীর বক্তব্যের সময় আম্রকুঞ্জের মঞ্চে যেন নক্ষত্র সমাবেশ। মমতা এবং শেখ হাসিনা, কেশরীনাথ ত্রিপাঠী এবং আরও অনেকে। মোদী বলেন, তিনি অতিথি হিসেবে নন। শান্তিনিকেতনে এসেছেন বিশ্বভারতীর আচার্য হিসেবে। অনুষ্ঠানে পানীয় জলের সমস্যা থাকায় তিনি ক্ষমা চেয়ে নেন। তাঁর বক্তব্য, “বিশ্বভারতীর গুরু-শিষ্য সম্পর্ক যেমন পুরনো, সেরকমই আধুনিক।’’
শুক্রবার নরেন্দ্র মোদীর বিমান অবতরণ করে পানাগড় বিমান বন্দরে। শান্তিনিকেতনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে স্বাগত জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বারের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে দেশিকোত্তম পুরস্কার না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে গতকালই ক্ষোভের কথা জানিয়েছিলেন মমতা। কিন্তু সমাবর্তন অনুষ্ঠানের ভাষনে বিতর্কের ধারপাশ দিয়ে যাননি মোদী।
আরও পড়ুন: শনিবার কথা হবে মমতা ও হাসিনার
আরও পড়ুন: টেলিপ্রম্পটার নেই? ভরসা তবে এসপিজি
বিশ্বভারতীতে এ দিন বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন করেন নরেন্দ্র মোদী এবং শেখ হাসিনা। হাসিনার সঙ্গে দেখা হওয়ায় বেশ কিছু ক্ষণ তাঁর সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাসিনা-মমতা বৈঠকে কি তিস্তা জলবণ্টনের বিষয়টি উঠবে? জল্পনা তুঙ্গে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy