Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Visva-Bharati convocation

টেলিপ্রম্পটার নেই? ভরসা তবে এসপিজি

প্রধানমন্ত্রী নাকি আজকাল টেলিপ্রম্পটার ছাড়া কোনও বক্তৃতাই দিতে চান না! কলকাতার একটি পাঁচতারা হোটেলে এই যন্ত্র আছে| সূত্রের খবর, সেখান থেকে যন্ত্রটি ধার চাওয়া হয়েছিল। তারা রাজি হয়নি| তাদের বক্তব্য, হোটেলের নিজস্ব অনুষ্ঠানের জন্য যন্ত্রটি সব সময় লাগে| বাইরে ভাড়া দেওয়া হয় না| শেষ পর্যন্ত ঠিক হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বাহিনী এসপিজি-ই যন্ত্রটি জোগাড় করবে| জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপার তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে নেবেন|

টেলিপ্রম্পটারের সাহায্যে বক্তৃতা দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। ছবি: সংগৃহীত।

টেলিপ্রম্পটারের সাহায্যে বক্তৃতা দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। ছবি: সংগৃহীত।

জয়ন্ত ঘোষাল
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০১৮ ০৫:৪৮
Share: Save:

আপনাদের বিশ্বভারতীতে টেলিপ্রম্পটার নেই? সে কী?

বিস্মিত প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়!!!

বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ জানালেন, ‘‘না| আসলে আমাদের সমাবর্তনের চরিত্রটা আলাদা| স্বতঃস্ফূর্ততাই এ অনুষ্ঠানের প্রাণ!’’

প্রধানমন্ত্রীর পাইক-পেয়াদা-বরকন্দাজদের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়ে গেল| প্রধানমন্ত্রী নাকি আজকাল টেলিপ্রম্পটার ছাড়া কোনও বক্তৃতাই দিতে চান না! কলকাতার একটি পাঁচতারা হোটেলে এই যন্ত্র আছে| সূত্রের খবর, সেখান থেকে যন্ত্রটি ধার চাওয়া হয়েছিল। তারা রাজি হয়নি| তাদের বক্তব্য, হোটেলের নিজস্ব অনুষ্ঠানের জন্য যন্ত্রটি সব সময় লাগে| বাইরে ভাড়া দেওয়া হয় না|

তবে? শেষ পর্যন্ত ঠিক হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বাহিনী এসপিজি-ই যন্ত্রটি জোগাড় করবে| জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপার তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে নেবেন|

এ বার সমাবর্তনের অনুষ্ঠানে প্রধান দুই বক্তা, দুই প্রধানমন্ত্রী| মোদী এবং শেখ হাসিনা| রাজ্যপাল এবং বাংলাদেশের দুই মন্ত্রী উপস্থিত থাকলেও তাঁদের বক্তৃতা দেওয়ার প্রস্তাব খারিজ হয়েছে | প্রথমে তো বেদগান এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপনকারী বক্তৃতাও বাতিলের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল| পরে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের সচিবকে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ বোঝান, এ ভাবে সব বাতিল করলে সমাবর্তনের ঐতিহ্য ম্লান হয়ে যাবে| তাই শেষ পর্যন্ত বেদগান হবে বলেই ঠিক হয়েছে| ধন্যবাদ জ্ঞাপনকারী বক্তৃতাও হবে| তবে নমো নমো করে|

প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ মহলের বক্তব্য, মোদীজি এই সব অনুষ্ঠানের সাবেকি ঘরানায় বদল আনতে চাইছেন| এক কর্তা এ-ও বললেন, ‘‘মোদীজি থাকলে আর কারও বক্তব্যের প্রাসঙ্গিকতা থাকে কি?’’

ভারতের একমাত্র কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় এই বিশ্বভারতী, যেখানে প্রধানমন্ত্রী নিজে আচার্য| ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এটাই মোদীর প্রথম শান্তিনিকেতন সফর| তবে মোদী শুধু প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আচার্য হননি, হয়েছেন ব্যক্তি মোদী হিসেবে| কারণ কিছু দিন আগে বিশ্বভারতী নতুন আচার্যের জন্য তিন জনের নাম পাঠিয়েছিল মন্ত্রকের কাছে| মোদী ছাড়া বিচারপতি শ্যামল সেনের নামও ছিল সেখানে| দিল্লি মোদীর নামই চুড়ান্ত করে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠায়| রাষ্ট্রপতি তিন বছরের জন্য মোদীকে আচার্য করে বিজ্ঞপ্তি জারি করেন|

সেই নরেন্দ্র মোদীর এই প্রথম বিশ্বভারতী যাত্ৰা|

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE