Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
State News

শনিবার কথা হবে মমতা ও হাসিনার

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চলতি সফরে তাঁর সঙ্গে আলাদা বৈঠক হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এমনকি শুক্রবার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে হাসিনার বৈঠকেও যোগ দিতে পারেন তিনি।

আনুষ্ঠানিক: বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে যোগ দিতে এসে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার শান্তিনিকেতনের রাঙাবিতানে। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী।

আনুষ্ঠানিক: বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে যোগ দিতে এসে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার শান্তিনিকেতনের রাঙাবিতানে। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী।

অনমিত্র চট্টোপাধ্যায় ও সন্দীপন চক্রবর্তী
শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০১৮ ০৩:৫৩
Share: Save:

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চলতি সফরে তাঁর সঙ্গে আলাদা বৈঠক হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এমনকি শুক্রবার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে হাসিনার বৈঠকেও যোগ দিতে পারেন তিনি।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শান্তিনিকেতনে পৌঁছে মমতা নিজেই বলেছেন, ‘‘বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন আছে। বাংলাদেশ থেকে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। দুই প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। আমিও থাকব। কথা হবে। ওঁদের বিদায়ও জানাব। পরের দিন শেখ হাসিনার সঙ্গে আলাদা করেও কথা হবে।’’

শুক্রবার প্রথমে সমাবর্তন, তার পরে বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন সেরে বৈঠকে বসার কথা মোদী-হাসিনার। এক ঘণ্টার সেই বৈঠক একেবারেই একান্ত হবে বলে নির্ধারিত আছে। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, বৈঠকে দু’দেশের অফিসাররাও থাকবেন না। কিন্তু দু’দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ এতটাই জড়িত যে, ছকের বাইরে হেঁটে মুখ্যমন্ত্রীকে ডেকে নেওয়া হতে পারে বলে মনে করছিলেন কূটনীতিকদের একাংশ। মমতার এ দিনের ঘোষণার পরে সেই সম্ভাবনা আরও জোরালো হল।

মোদী-হাসিনা বৈঠকে কী হবে জানা নেই, তবে হাসিনার সঙ্গে তাঁর পৃথক বৈঠকে তিস্তা প্রসঙ্গ উঠবে না বলেই মনে করেন মমতা। বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, শনিবার শেখ হাসিনা কলকাতায় ফেরার পরে তাঁর হোটেলে গিয়ে দেখা করতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আসানসোলে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্মানিক ডিলিট নেওয়ার পরে কলকাতায় ফিরে নেতাজি ভবনে যাওয়ার কথা হাসিনার। সেখান থেকে ফিরে তিনি মমতার সঙ্গে কথা বলবেন। তার পরে বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হবেন।

এ দিন মমতা বলেন, ‘‘বাংলাদেশের সঙ্গে আমার সম্পর্ক সব সময় ভাল। হাসিনা যখন বিরোধী নেত্রী, তখন থেকে যোগাযোগ। দেখা হবে, ভাল লাগছে।’’ কী কথা হবে হাসিনার সঙ্গে? তিস্তার জলবণ্টন নিয়ে কথা হবে কি? মমতার জবাব, ‘‘মনে হয় সে প্রসঙ্গ উঠবে না।’’

বর্ষীয়ান এক কূটনীতিক জানালেন, বেশ কয়েক বছর আগে হাসিনার দিল্লি সফরের সময়েও রাতে তাঁর হোটেলে গিয়েছিলেন মমতা। তিনি তখন সাংসদ। হাসিনার সঙ্গে ছিলেন তাঁর বোন রেহানা ও বান্ধবী বেবী মওদুদ। খোলামেলা আড্ডা চলেছিল অনেক রাত পর্যন্ত।

রেহানা এ বারও আসছেন। কিন্তু বেবী মওদুদ প্রয়াত। আর সেই আড্ডার সময়-সুযোগ এ বার নেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE