সমতলের ভোট শেষ। এ বারে পাহাড়ে ভোটের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। চলতি মাসের শেষে পাহাড়ের ১৫টি সম্প্রদায়ের বোর্ডের সম্মিলিত অনুষ্ঠান হওয়ার কথা। সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। উদ্যোক্তাদের আশা, সেই সময়ে পাহাড়ে আসতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। তা হলে তখন তাঁর কাছে ভোট করানোর ব্যাপারে একযোগে আর্জি জানাতে পারে জিএনএলএফ, মোর্চা, অখিল ভারতীয় গোর্খা লিগ।
পাহাড়ের রাজনৈতিক শিবিরের দাবি, এমনিতেই জিটিএ-র তত্ত্বাবধায়ক পরিষদের মেয়াদ মোটে ৬ মাসের। প্রয়োজনে সেই মেয়াদ বাড়ানো যায় ঠিকই। কিন্তু মোর্চা, জিএনএলএফ নেতৃত্বরাই চাইছেন, এখনই পাহাড়ে ভোট করানো হোক। কিছু দিন আগে দিল্লি সফর বাতিল করে কলকাতা থেকে পাহাড়ে ফিরে গিয়ে এমনই বার্তা দিয়েছিলেন বিনয় তামাংও। সব ঠিক থাকলে, ৩০ মে ১৫টি বোর্ডের সম্মিলিত অনুষ্ঠানের ফাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এই বিষয়ে কথা হবে তাঁদের। বিনয় বলেন, ‘‘পাহাড়ে শান্তি ও গণতন্ত্র ফিরেছে। উন্নয়নে গতি এসেছে। আশা করি রাজ্য নির্বাচন কমিশন সব দিক দেখে পদক্ষেপ করবে।’’ গোর্খা লিগ, জিএনএলএফের নেতাদের অনেকে জানান, তাঁরাও দ্রুত জিটিএ ভোটের পক্ষপাতী।
গত সেপ্টেম্বরে জিটিএ-র তত্ত্বাবধায়ক পরিষদটি গঠন করা হয় বিনয়কে মাথায় রেখে। তার ৬ মাস পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। তার পরে আবার ছ’মাসের জন্য পরিষদের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। অতীতে সুবাস ঘিসিংকে এই ভাবে প্রায় দু’বছর ধরে প্রশাসক করে রেখেছিল বামফ্রন্ট সরকার। তখন এই মেয়াদ বৃদ্ধির প্রতিবাদে প্রথম সারিতে ছিলেন বিনয়। এখন তিনি চান, তাঁর দিকেও যেন একই কারণে আঙুল না ওঠে। তা ছাড়া এখন বিমল গুরুং পাহাড়ছাড়া। এই অবস্থায় যদি দ্রুত ভোট করা যায়, তা হলে কট্টরপন্থীরা বিশেষ দাঁত ফোঁটাতে পারবেন না বলেও বিশ্বাস মোর্চার বর্তমান নেতৃত্বের।