শিলিগুড়িতে পর্যটন দফতরের সরকারি অতিথি আবাস ‘মৈনাক’-এ তৈরি হবে নিরামিষ হেঁসেল। ছবি: সংগৃহীত।
সরকারি অতিথি আবাসে এ বার থেকে আলাদা হচ্ছে নিরামিষ হেঁসেল। সেখানে মাছ-মাংসের ছোঁয়া থেকে দূরে তৈরি হবে নিরামিষ খাবার। পর্যটনমন্ত্রীর নিজের শহর শিলিগুড়ি থেকে শুরু হচ্ছে এই ব্যবস্থা। আপাতত ঠিক আছে, শিলিগুড়িতে পর্যটন দফতরের সরকারি অতিথি আবাস ‘মৈনাক’-এ তৈরি হবে নিরামিষ হেঁসেল। তার জন্য তৈরি হচ্ছে পৃথক ঘর। নিয়োগ করা হবে আলাদা রাঁধুনি।
শিলিগুড়িতে অবাঙালি নিরামিষভোজী মানুষের সংখ্যা যথেষ্ট। এত দিন তাঁরা কেউ ‘মৈনাক’-এ খেতে এলে আমিষ হেঁসেলেই তাঁদের নিরামিষ পদ রান্না করা হত। পর্যটন দফতর সূত্রে বলা হচ্ছে, নিরামিষভোজীরা কোনও ভাবেই মাংস, মাছ, ডিমের ছোঁয়াছুঁয়ির মধ্যে যেতে চান না। বাঙালিদের মধ্যেও কেউ কেউ নিরামিষ পদের খোঁজ করেন। বিষয়টি নজরে আসার পরে অফিসারদের নিয়ে বৈঠকে বসেন রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী। মৈনাকের পাশেই মন্ত্রীর উত্তরবঙ্গের সদর দফতর। ঠিক হয়, নতুন করে পিছনের অংশে নিরামিষ রান্নাঘর হবে।
কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, নিরামিষভোজী অবাঙালি ভোটব্যাঙ্কের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি তো? শহরের রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, এত দিন অবাঙালিদের বড় অংশের ভোট পেতেন অশোক ভট্টাচার্য। এখন যাতে সেই ভোট বিজেপি-র দিকে না যায়, তার জন্যই সচেষ্ট নয়তো তৃণমূল নেতৃত্ব? অক্টোবরের গোড়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিলিগুড়ি সফরে এসে হিন্দিভাষী মঞ্চের একটি সভায় যোগ দিয়েছিলেন। দলীয় সূত্রে খবর, সেই সময়েই নিরামিষ হেঁসেল তৈরির সিদ্ধান্ত হয়।
মন্ত্রী যদিও রাজনীতির বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। গৌতম দেব বলেন, ‘‘নিরামিষাশিরা বেশিরভাগই আমিষের ছোঁয়া খেতে চান না। সেটা তো আমরা সকলেই জানি। শিলিগুড়িতে দু’ধরনের মানুষই বাস করেন। ‘মৈনাক’কে জনপ্রিয় করতে তাই বাণিজ্যিক চিন্তাভাবনা থেকে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy