এভারেস্টের শীর্ষে পা রাখলেন আর এক বাঙালি! সোমবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ এভারেস্ট শৃঙ্গ জয় করেছেন রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল লক্ষ্মীকান্ত মণ্ডল। একই সঙ্গে এভারেস্টে উঠেছেন নেপালের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী পর্বতারোহী ছোনজিন আংমোও। অন্য দিকে, লোৎসে শৃঙ্গ থেকে নামার পথে মৃত্যু হয়েছে দুই পর্বতারোহীর, যাঁদের মধ্যে রয়েছেন ভারতের রাকেশ কুমার বিশ্নোই (৩৯)।

রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল লক্ষ্মীকান্ত। ছবি: ফেসবুক।
সোমবার সকালে এভারেস্টে চড়েন লক্ষ্মীকান্ত। তবে এই সফরে তিনি একা ছিলেন না। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের তৃতীয় ব্যাটালিয়নের এই কনস্টেবলের সঙ্গে এভারেস্ট শিখরে পা রাখেন আরও এক ভারতীয় গীতা সামোতা। সঙ্গী হিসাবে ছিলেন তেনজিং শেরপা (গেলবা) এবং লাকপা শেরপাও। বর্তমানে কলকাতা পুলিশের কমিশনার মনোজ বর্মার দেহরক্ষী হিসাবে নিযুক্ত লক্ষ্মীকান্ত এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে এভারেস্ট অভিযানে রওনা দিয়েছিলেন। যাত্রা শুরুর আগে তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন মনোজ বর্মা-সহ কলকাতা ও রাজ্য পুলিশের পদস্থ আধিকারিকেরা। সোমবার এভারেস্ট জয়ের পর লক্ষ্মীকান্তকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
আরও পড়ুন:
অন্য দিকে, নেপালে অবস্থিত বিশ্বের চতুর্থ সর্বোচ্চ শৃঙ্গ লোৎসে আরোহণ করে নামার পথে মৃত্যু হয়েছে এক ভারতীয়-সহ দুই পর্বতারোহীর। নিহতেরা হলেন রোমানিয়ার পর্বতারোহী জসোল্ট ভাগো এবং রাজস্থানের বাসিন্দা রাকেশকুমার বিশ্নোই। রবিবার গভীর রাতে ৮,৫১৬ মিটার (২৭,৯৪০ ফুট) উঁচু এই পর্বতের চূড়া থেকে নামার সময় তাঁদের মৃত্যু হয়। সোমবার তাঁদের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স। এর আগে গত বৃহস্পতিবার মাউন্ট এভারেস্ট জয় করে ফেরার পথে মৃত্যু হয়েছিল বাঙালি পর্বতারোহী সুব্রত ঘোষের (৪৫)। নদিয়ার রানাঘাটের বাসিন্দা সুব্রত পেশায় শিক্ষক ছিলেন। এভারেস্টের হিলারি স্টেপের কাছে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। একই দিনে মৃত্যু হয় ফিলিপিন্সের পর্বতারোহী ফিলিপি লুই স্যান্তিয়াগোর। এভারেস্টে ওঠার সময়েই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। সেই আবহে নতুন করে দুই পর্বতারোহীর মৃত্যুতে চলতি মরসুমে এভারেস্ট-সহ নেপালের বিভিন্ন শৃঙ্গে মৃতের সংখ্যা আট জনে গিয়ে দাঁড়াল।