ছবি: পিটিআই।
প্রাইমারি টেটের দিন বদল করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পরীক্ষা ১০ ডিসেম্বর হওয়ার কথা ছিল। তা পরিবর্তন করা হয়েছে। কবে পরীক্ষা, তা সোমবার জানানো হল।
আগে ১০ ডিসেম্বর প্রাইমারি টেটের দিন ঘোষণা করেছিল পর্ষদ। জানিয়েছিল, ওই দিন দুপুর ১২টা থেকে দুপুর আড়াইটে পর্যন্ত পরীক্ষা হবে। এর পর সোমবার পর্ষদ জানাল, ১০ ডিসেম্বর পরীক্ষা হবে না। পরিবর্তে পরীক্ষা হবে আগামী ২৪ ডিসেম্বর। তবে পরীক্ষার সময়ে কোনও বদল হচ্ছে না বলেই বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে পর্ষদ। তবে কী কারণে এই দিন বদল, তা জানানো হয়নি বিজ্ঞপ্তিতে। শুধু বলা হয়েছে, অনিবার্য পরিস্থিতির কারণে এই সিদ্ধান্ত।
পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল বলেন, ‘‘আমরা এ বার বেশ কিছু নতুন পদক্ষেপ করছি যাতে পরীক্ষা একেবারে নির্বিঘ্নে হয়। তার জন্য বোর্ডের বেশ কিছুটা সময় প্রয়োজন। তাই পরীক্ষার দিন পিছনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পর্ষদ।’’
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, বিএড যাঁরা করেছেন, তাঁরা এ বছর টেটে বসতে পারবেন না। তবে ডিএলএড-সহ প্রাথমিক শিক্ষকের অন্য প্রশিক্ষণ যাঁরা নিয়েছেন, তাঁরা টেট দিতে পারবেন। তা ছাড়া, গত বছরের টেটে যাঁরা অকৃতকার্য হয়েছিলেন, তাঁরাও নতুন করে এ বছর ফর্ম পূরণ করতে পারবেন।
গত বছরের মতো এ বছরও পরীক্ষার নিরাপত্তায় কোন ত্রুটি রাখতে চাইছে না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সরকারি সূত্রে খবর, সিসিটিভির নজরদারি থেকে বায়োমেট্রিক উপস্থিতি সব রকম ব্যবস্থা রাখতে চলেছে পরীক্ষার্থীদের জন্য। নজরদারির জন্য কেন্দ্রীয় ভাবে কন্ট্রোল রুম খোলা হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে।
পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে খবর, গত বছরের তুলনায় এ বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় অর্ধেক হয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে পর্ষদের তরফ থেকে ব্যাখ্যা, ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে যে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়েছিল সেখানে ডিএলএড ও বিএড-এর সকল যোগ্য প্রার্থী আবেদন করতে পেরেছিলেন। তবে এ বছর শীর্ষ আদালতের নির্দেশে ডিএলএড উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরাই শুধু আবেদন করতে পারবেন। তাই আবেদনের সংখ্যা অনেকটাই কমেছে। পর্ষদ জানিয়েছে, এ বছর ৩ লক্ষ ৯ হাজার ৫৪ জন পরীক্ষা দেবেন।
২০২২ সালে ডিএলএড ও বিএড পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন প্রায় এক লাখ পঞ্চাশ হাজার জন পরীক্ষার্থী। তার মধ্যে থেকে প্রায় ৯৭ হাজার পরীক্ষার্থী এ বছর প্রাথমিকের টেটে আবেদন করতে পারবেন না বলে পর্ষদ সূত্রের খবর। পাশাপাশি পর্ষদের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, এ বছর শূন্য আসনের সংখ্যা অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০২২ সালের ১১ ডিসেম্বর দীর্ঘ পাঁচ বছর বাদে প্রাথমিকের টেট হয়েছিল সেখানে আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল প্রায় ছ’লক্ষ ৯০ হাজার। আর পরীক্ষায় বসেছিলেন প্রায় ছ’লক্ষ ২০ হাজার পরীক্ষার্থী। ২০২৩ সালের ১৪ ই সেপ্টেম্বর অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন প্রক্রিয়া গ্রহণ করা শুরু হয়েছিল এবং ৪ অক্টোবর আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার যাঁরা আবেদন করেও টাকা জমা দেননি তাঁদের জন্য একদিন বাড়তি ধার্য করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy