প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
তিন দিন পরেই বসতে চলেছে রাজ্যের শিল্প সম্মেলনের আসর। ১৯ এপ্রিল বিশ্ব বাংলা মেলা প্রাঙ্গণে হবে সম্মেলনের নৈশ ভোজ। ২০ এপ্রিল বিশ্ব বাংলা কনভেনশন কেন্দ্রে সম্মেলনের উদ্বোধন হবে। ২১ এপ্রিল সম্মেলনের বর্ধিত দিনের সূচিও নির্দিষ্ট রয়েছে। শনিবার তারই প্রস্তুতি বৈঠক করলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সম্মেলন কেন্দ্রর প্রস্তুতিও ঘুরে দেখেন মুখ্যসচিব-সহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা। সম্মেলনে ১৪টি দেশের প্রতিনিধিরা থাকবেন বলে প্রশাসনিক সূত্রের খবর। তবে উল্লেখযোগ্য শিল্পপতিদের মধ্যে কারা সম্মেলনে আসবেন, তা এখনই প্রকাশ করতে চাইছে না রাজ্য। সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আসবেন কি না, তা-ও এখনও স্পষ্ট নয় বলেই প্রশাসনিক সূত্রের দাবি।
তৃতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের অগ্রাধিকার যে শিল্পায়ন এবং কর্মসংস্থান, তা আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অনুযায়ী সম্মেলনের প্রস্তুতি চলছে প্রশাসনের অন্দরে। সরকারি সূত্রের খবর, সম্মেলনে আদানি গোষ্ঠীর উপস্থিতি কার্যত নিশ্চিত। কারণ, মুম্বইয়ে রাজ্যের শিল্প বৈঠকের পরে নবান্নে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে হওয়া বৈঠকে সে ব্যাপারে আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধার গৌতম আদানি কথা দিয়েছিলেন। তাজপুরে সমুদ্র বন্দর নিয়ে তাদের আগ্রহও নতুন নয়। আদানি গোষ্ঠীর উপস্থিতি শিল্প সম্মেলনে বাড়তি মাত্রা দেবে বলে প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের অনেকের ধারণা। সূত্রের দাবি, সম্মেলনে মুকেশ অম্বানির উপস্থিতিও কার্যত নিশ্চিত। এ রাজ্যে তাঁদের উল্লেখযোগ্য নেটওয়ার্ক-ডেটা ক্ষেত্রে বিনিয়োগ রয়েছে। এ ছাড়াও, এই সম্মেলনে অন্যান্য শিল্পপতি, উদ্যোগপতি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কনসাল জেনারেলদেরও থাকার কথা।
ভবানীপুর উপ-নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁকে বিজিবিএস-এ আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে প্রশাসনিক সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর আসার কোনও স্পষ্ট বার্তা নেই নবান্নের কাছে। এ দিন যে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বৈঠক হয়েছে, সেখানেও পৃথক ভাবে এ নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। আধিকারিকদের অনেকেই জানাচ্ছেন, প্রধানমন্ত্রীর মতো ভিভিআইপি এলে নিরাপত্তা বন্দোবস্ত নিয়ে অনুষ্ঠানের কয়েক দিন আগে থেকেই এসপিজি-র সঙ্গে রাজ্যের পুলিশের একটা সমন্বয় হয়। তেমন কোনও বৈঠক এখনও হয়নি বলেই খবর। তবে অনেকে এ-ও জানাচ্ছেন, সময় পেরিয়ে যায়নি। ফলে দিল্লির বার্তা এলেই এ নিয়ে প্রস্তুতি সেরে ফেলতে সমস্যা হবে না।
কনভেনশন কেন্দ্রের আসনসংখ্যা প্রায় ৩২০০। সম্মেলনের প্রস্তুতি যে ভাবে হচ্ছে, রীতিমতো জাঁকজমকপূর্ণ হবে বলে প্রশাসনিক মহলের ধারণা। সূত্রের দাবি, কেন্দ্রের মূল গেট থেকে সম্মেলন কক্ষ পর্যন্ত টানেল তৈরি হচ্ছে। গাড়ি থেকে নেমে অতিথি-অভ্যাগতরা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সেই টানেল দিয়ে সম্মেলন কক্ষে পৌঁছবেন। টানেলে বিভিন্ন ‘ডিসপ্লে’-ও থাকবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy