শান্তিপ্রসাদ সিনহা এবং অশোক সাহা তদন্তে সহযোগিতা করেননি বলে অভিযোগ করে সিবিআই। ফাইল চিত্র।
আরও ছ’দিন সিবিআই হেফাজতে থাকতে হবে এসএসসি নিয়োগের উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান শান্তি প্রসাদ সিনহা এবং কমিটির প্রাক্তন সদস্য অশোক সাহাকে। দু’জনের বিরুদ্ধেই এসএসসি নিয়োগে ‘আরও বড় ষড়যন্ত্রে’ জড়িত থাকার অভিযোগ করেছিল সিবিআই। দু’জনে সিবিআইকে তদন্তে সহযোগিতা করেননি বলেও সিবিআই অভিযোগ করেছিল আদালতে। বুধবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা দু’জনকেই হেফাজতে চেয়ে আবেদন করেছিলেন আদালতে। আদালত সেই আবেদনে সায় দিয়েছে। ফলে ২২ অগস্ট পর্যন্ত শান্তিপ্রসাদ এবং অশোককে সিবিআই হেফাজতেই থাকতে হবে।
এসএসসি নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে উপদেষ্টা কমিটির দুই সদস্য শান্তিপ্রসাদ এবং অশোককে হেফাজতে নেয় সিবিআই। বুধবারই সেই হেফজতের মেয়াদ শেষ হয়। নিজাম প্যালেস থেকে আদালতে নিয়ে আসা হয় দু’জনকেই। সেখানে সিবিআই শান্তিপ্রসাদদের হেফাজতে চাইলে শুরু হয় দু’পক্ষের আইনজীবীর বাদানুবাদ। এক দিকে সিবিআই আইনজীবী প্রশ্ন তোলেন, উপদেষ্টা হয়েও কী ভাবে এসএসসি নিয়োগে ‘রেকমেন্ডেশন’ দিয়েছিলেন শান্তিপ্রসাদরা। তাঁদের যুক্তি, ওঁরা ‘আরও বড় ষড়যন্ত্রের’ সঙ্গে জড়িত। অন্য দিকে, শান্তিপ্রসাদদের আইনজীবীরা যুক্তি দেন, ওঁরা শিক্ষাবিদ। ওঁদের যোগ্যতা দেখেই উপদেষ্টা পদে নিয়োগ করা হয়েছে। আর ওঁরা যা করেছেন, তা নিয়োগকারীদের নির্দেশ পালন করার জন্যই। তাই সিবিআই যদি কথা বলতে চায় তবে যাঁরা নির্দেশ দিয়েছিলেন তাঁদের সঙ্গে বলুক।
আদালতে শান্তিপ্রসাদদের জামিনও চেয়েছিলেন তাঁদের আইনজীবী। কিন্তু সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, অভিযুক্তরা তদন্তে সহযোগিতা করেননি। এই মামলার তদন্তে একের পর নতুন তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। তা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যও অভিযুক্তদের হেফাজতে নেওয়া দরকার। দু’পক্ষের আইনজীবীদের এই বাদানুবাদ দীর্ঘক্ষণ চলতে থাকে আদালতে। শেষ শান্তিপ্রসাদদের হেফাজত নিয়ে নির্দেশদান স্থগিত রাখে আদালত। পরে সিবিআইয়ের পক্ষেই নির্দেশ দেওয়া হয়। শান্তিপ্রসাদ এবং অশোককে সিবিআই আরও ছ’দিন হেফাজতে রাখতে পারবে বলে জানিয়ে দেয় আদালত। শনিবার আবার তাঁদের হাজির করা হবে আদালতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy