Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪
Anubrata Mondal

জমানো টাকা বাজেয়াপ্ত, মামলা লড়তে অর্থ লাগবে অনেক, কেষ্টকে টাকা দেবে কে! চিন্তায় ঘনিষ্ঠরা

অনুব্রতের ঘনিষ্ঠদের বক্তব্য, অনুব্রতের নিজের এবং মেয়ে সুকন্যা-সহ ঘনিষ্ঠদের কিছু অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই। সেখানে যে ১৭ কোটি টাকার আমানত আছে, তা ব্যবহারের উপায় নেই।

ঘনিষ্ঠদের অন্য সব অ্যাকাউন্টের উপরেও নজর আছে কেন্দ্রীয় সংস্থার।

ঘনিষ্ঠদের অন্য সব অ্যাকাউন্টের উপরেও নজর আছে কেন্দ্রীয় সংস্থার। ফাইল ছবি

দয়াল সেনগুপ্ত
সিউড়ি শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৬:২৮
Share: Save:

মামলা চালাতে গেলে ভাল পরিমাণ টাকা লাগবে। বিশেষ করে ইডি যদি হেফাজতে নেয় তাঁকে, তা হলে তদন্তের জন্য তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তখন সেখানে ইডি-সিবিআই সংক্রান্ত মামলার অভিজ্ঞতা আছে, এমন আইনজীবীদের নিয়োগ করাই সমীচীন, মনে করছে তাঁর ঘনিষ্ঠমহল। কিন্তু সেটা করতে গেলে যে টাকার প্রয়োজন, সেটা কে দেবে? আপাতত অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠমহল এবং বীরভূম জেলা তৃণমূল এই নিয়েই চিন্তিত।

অনুব্রতের ঘনিষ্ঠদের বক্তব্য, অনুব্রতের নিজের এবং মেয়ে সুকন্যা-সহ ঘনিষ্ঠদের কিছু অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই। সেখানে যে ১৭ কোটি টাকার আমানত আছে, তা ব্যবহারের উপায় নেই। এর বাইরে ঘনিষ্ঠদের অন্য সব অ্যাকাউন্টের উপরেও নজর আছে কেন্দ্রীয় সংস্থার। তাই সে সব অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা খরচ হলে, তা নিয়েও খোঁজখবর শুরু হবে। বিশেষ করে সিবিআইয়ের পরে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডির তদন্ত শুরু হলে মামলা প্রক্রিয়া দীর্ঘ দিন ধরে চলতে পারে, মনে করছেন সকলেই। যদি তাঁকে তদন্তের জন্য দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়, তা হলে সেখানে এমন আইনজীবী প্রয়োজন, যাঁর বা যাঁদের সিবিআই-ইডি সংক্রান্ত মামলা সামলানোর অভিজ্ঞতা আছে। এ সব ক্ষেত্রে খরচ অনেকটাই বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা।

দল সূত্রের খবর, অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ নেতা থেকে ব্যবসায়ী, যাঁরা টাকা জোগাতে পারেন, তাঁরাও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আতসকাচের তলায়। ফলে সোজা পথে কী ভাবে টাকা জোগাড় হবে, সেই চিন্তাই বড় হয়ে দেখা দিয়েছে জেলা তৃণমূলে। পরিস্থিতি এমনই যে, টাকার থলি নিয়ে বসে থাকলেও সেই টাকা দিতে যাওয়াটা ঝুঁকির।

প্রকাশ্যে অবশ্য এই নিয়ে কেউ কিছু বলতে চাইছেন না। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তৃণমূলের এক নেতা বলেন, ‘‘যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে টাকার জোগান নিয়ে চিন্তা রয়েছে। তবে তারও পথ বার করা হচ্ছে।’’ কী ভাবে? কারণ, নেতাদের একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকলেও জেলা তৃণমূলের কোনও পাকা হিসেবযুক্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই। ফলে দলীয় তহবিল থেকে টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। তবে ওই নেতা জানিয়েছেন, দলের বিভিন্ন স্তরের নেতা, বিধায়ক ও অনুব্রতের শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে এক তহবিল করার চেষ্টা হচ্ছে। সকলকে বলা হচ্ছে, সে টাকার যেন হিসাব দেওয়া কঠিন না হয়। ওই নেতার কথায়, ‘‘এই ভাবেই মামলার টাকা জোগাড় করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Anubrata Mondal CBI ED
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE