খুচরো ব্যবসায় প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের (এফডিআই) বিরোধিতা করে দ্বিতীয় ইউপিএ সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। বিরোধিতায় তখন পথে নেমেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিরক্ষা থেকে শুরু করে ওষুধ, বিমান পরিবহন, ডিটিএইচ সার্ভিসে প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নির দরজা আরও হাটখোলা করে দেওয়ার ব্যাপারে সোমবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদী সরকার। এ ব্যাপারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও নীরব কেন তা নিয়েই মঙ্গলবার প্রশ্ন তুললেন রাজ্য রাজনীতির বিরোধীরা।
প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস বিধায়ক মানস ভুইঁঞা এদিন বলেন, ‘‘কেবল খুচরো ব্যবসায় প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নি নিয়ে মমতা তখন আপত্তি করেছিলেন। কিন্তু এখন যে ভাবে প্রতিরক্ষার মতো বিষয়েও বিদেশি বিনিয়োগের দরজা খুলে দেওয়া হচ্ছে, তাতে দেশের সার্বভৌমত্ব নষ্ট হবে। তার পরেও মমতা চুপ করে রয়েছেন কেন?’’
তৃণমূলের মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন অবশ্য সোমবারই জানান, সরকার যে ভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ১০০% এফডিআই-এর সিদ্ধান্ত নিয়েছে,
তৃণমূল তার বিরুদ্ধে। কারণ, এতে কর্মসংস্থান কমবে। কিন্তু কলকাতায় মুখ্যমন্ত্রী তো বটেই, দলের রাজ্য নেতারাও কেউ সোমবার এ বিষয়ে কথা বলেলনি। মানসবাবুর বক্রোক্তি, ‘‘তৃণমূল যে বিজেপির সঙ্গে বোঝাপড়া করে চলছে, মুখ্যমন্ত্রীর নীরবতাই তার প্রমাণ।’’ কেন্দ্রীয় সরকার অবশ্য দাবি করেছে, প্রতিরক্ষায় এফডিআই-এর ফলে দেশে কর্মসংস্থান বাড়বে।
মানসবাবুদের এই সমালোচনা নিয়ে এ দিন মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে অবশ্য তিনি বলেন,‘‘ডেরেক যে মন্তব্য করেছে সেটাই আমার বক্তব্য।’’ তবে বিরোধীদের মতে, এ হল নামকে ওয়াস্তে বিরোধিতা করা। খুচরো ব্যবসায় এফডিআইয়ের বিরোধিতা করে ২০১২-তে ইউপিএ-২ সরকার থেকে সমর্থন তুলে নিয়েছিল তৃণমূল। ফলে রাজ্যেও কংগ্রেস-তৃণমূল জোট ভেঙে যায়। মানসবাবু, মনোজ চক্রবর্তী-সহ কংগ্রেস মন্ত্রীরা ইস্তফা দিয়ে মহাকরণ ছেড়ে বেরিয়ে আসেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy