গত দু’দশকেরও বেশি সময় ধরে ভারতের নানা অরণ্যে বাঘেদের ক্যামেরাবন্দি করেছেন তিনি। তৈরি করেছেন নানা তথ্যচিত্র। খ্যাতনামা সেই বন্যপ্রাণ তথ্যচিত্র নির্মাতা সুব্বাইয়া নাল্লামুথু তাঁর অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন শহরবাসীর সঙ্গে।
‘সোসাইটি ফর হেরিটেজ অ্যান্ড ইকোলজিক্যাল রিসাচার্স (শের) এবং বিড়লা অ্যাকাডেমির যৌথ উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছিল ‘ওয়াইল্ডলাইফ ফিল্মমেকিং ইন দ্য এজ় অফ সোশ্যাল মিডিয়া অ্যান্ড ডিজিটাল ডিসরাপশন’ শীর্ষক ওই আলোচনাসভা এবং তথ্যচিত্র প্রদর্শনের। সহযোগিতায় নাল্লামুথু এবং তাঁর সংস্থা ‘নাল্লাস আর্ক’।
শহরবাসীর সঙ্গে আলাপচারিতায় নাল্লামুথুর আক্ষেপ, ভারতের বন্যপ্রাণের বিপুল সম্ভার থাকলেও ‘ওয়াইল্ডলাইফ ফিল্মমেকিং’-এ ভারতীয়রা অনেক পিছিয়ে। পশ্চিমী দুনিয়ায় বন্যপ্রাণ বাড়ন্ত। কিন্তু সেখানে বন্যপ্রাণ তথ্যচিত্রকারের সংখ্যা অনেক। তাঁরা আফ্রিকা, এশিয়ার বিভিন্ন দেশে এসে কাজ করেন।
‘শের’-এর কর্ণধার জয়দীপ কুন্ডু জানান, বন্যপ্রাণ সংরক্ষণে জনমত গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এমন তথ্যচিত্রের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আলোচনা পর্বের শেষে ‘টাইগার অ্যানথম’-এর উপর নাল্লামুথুর তৈরি তিনটি শর্ট ফিল্ম দেখানো হয়। ভারতে ব্যাঘ্রপ্রকল্পের (প্রজেক্ট টাইগার) ৫০ বছর পূর্তিতে তৈরি করা হয়েছে শর্ট ফিল্মগুলি। সেখানে নাল্লামুথুর ক্যামেরাবন্দি করেছেন তাড়োবা অরণ্যের বাঘিনি মায়া এবং তার শাবকদের।