সোমবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় মনোনয়ন দিলেন সুস্মিতা দেব। সঙ্গে ছিলেন বিধায়ক তাপস রায়। নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূলের পক্ষে রাজ্যসভায় মনোনয়ন দিয়েই ত্রিপুরা দখলের হুঙ্কার ছাড়লেন সুস্মিতা দেব। সোমবার তৃণমূলের পক্ষে রাজ্যসভার উপনির্বাচনে মনোনয়ন দাখিল করেন তিনি। আর সোমবার সকালেই টুইট করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়ে দেন, পশ্চিমবঙ্গের উপনির্বাচনে প্রার্থী দেবে না বিজেপি। তাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সুস্মিতাই যে মানস ভুঁইয়ার ছেড়ে যাওয়া আসনে সাংসদ হবেন, তা ধরেই নেওয়া যায়। তবে সুস্মিতাকে মনোনয়ন প্রত্যাহার ও স্ক্রুটিনির দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ থেকে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ হয়ে যে তাঁর লক্ষ্য ত্রিপুরার ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচন, তাও স্পষ্ট করে দেন সুস্মিতা।
তৃণমূলের প্রতীকে জয়ী হওয়ার পর প্রথম লক্ষ্য কী? এমন প্রশ্নের জবাবে শিলচরের প্রাক্তন সাংসদ বলেন, ‘‘আপাতত সামনে রয়েছে ত্রিপুরার ২০২৩ সালের বিধানসভা ভোট। তাই ত্রিপুরার নির্বাচনই আমাদের প্রথম টার্গেট।’’ মঙ্গলবার তিনি ত্রিপুরায় যাবেন। সেখানে ২২ সেপ্টেম্বর তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একটি মিছিলের কর্মসূচি রয়েছে। কিন্তু ত্রিপুরা পুলিশ অনুমতি না দেওয়ায়, আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল।
এমন বাধা সত্ত্বেও যে তৃণমূল ত্রিপুরার মাটি ছাড়বে না তাও স্পষ্ট করেছেন সুস্মিতা। তিনি বলেছেন, ‘‘মমতাদির প্রতি আস্থা ও ভরসা রয়েছে ত্রিপুরাবাসীর। তবে আমার রাজ্যসভায় মনোনয়নের পরে সেই বিষয়টি আরও উজ্জীবিত হয়েছে। এটা ত্রিপুরার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। আমরা ত্রিপুরার যুদ্ধের জন্য তৈরি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy