ছবি: সংগৃহীত
মহাজনের কাছে চোট গিয়েছে শাড়ি, বোলপুরের ওই মহাজনের বাড়িতে শাড়ি ফেরত নিতে গিয়ে হেনস্থার শিকার হয়েছেন কলকাতার বুটিক ব্যবসায়ী মা ও মেয়ে। পুলিশও বিষয়টিতে গুরুত্ব দেয়নি এমন অভিযোগ তুলে ফেসবুক লাইভে সরব হয়েছেন এক তরুণী। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। তড়িঘড়ি ডেকে পাঠানো হয়েছে অভিযোগকারী তরুণী ও তাঁর মা এবং বোলপুরের শাড়ি ব্যবসায়ী ওই মহাজনকে।
অভিযোগ, কাঁথাস্টিচের কাজ করতে দেওয়া শাড়ি দীর্ঘদিন ধরে আটকে রেখেছেন অভিযুক্ত মহাজন। ফোন করলে বা দেখা করতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যাচ্ছেন প্রতিবার। সেই শাড়ির খোঁজ করতে গেলে অভিযোগকারী বুটিক ব্যবসায়ী ওই তরুণী ও তাঁর মা’কে হেনস্থা করা হয়। বিষয়টি নিয়ে শান্তিনিকেতন থানায় এফআইআর করতে গেলে পুলিশ একটি জেনারেল ডায়েরি করে তাঁদের চলে যেতে বলে ফেসবুক লাইভে জানিয়েছেন অভিযোগকারিনী। তাঁর দাবি, সোমবার বোলপুরে ওই মহাজনের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তাঁদের একটি ঘরের মধ্যে ঢুকিয়ে রেখে ওই মহাজন, তাঁর স্ত্রী ও সঙ্গীরা শারীরিক নির্যাতনও করেন। মঙ্গলবার এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে এলাকায় ব্যবসায়ী মহলে চাঞ্চল্য ছড়ায়।
ফেসবুকে ওই তরুণী যে অভিযোগ করেছেন তার সার সংক্ষেপ হল, প্রায় এক বছর আগে বোলপুর শ্রীনিকেতন বাসস্ট্যান্ড ঘেঁষা এক মহাজনের কাছে ৫টি তসর সিল্কের শাড়ির উপর কাঁথাস্টিচের কাজ করাতে দেন তাঁর মা। কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও ওই ব্যবসায়ী সেই শাড়িগুলি ফেরত দেননি। কবে দেবেন তা জানতে চাওয়ায় এড়িয়ে গিয়েছেন। ফোন ও হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগও বন্ধ করে দেন। বাধ্য হয়েই মা-মেয়ে রবিবার বোলপুরে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেদিন ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। সোমবার ব্যবসায়ীর বাড়িতে কবে শাড়ি ফেরত পাবেন খোঁজ নিতে গেলে তাঁদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করা হয় এবং মারধর করে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বোলপুরের ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা হলে পরিবারের সদস্যরা বলেন তিনি বাড়িতে নেই। পরে ফোন করতে হবে।
তবে বোলপুর মহিলা থানা সূত্রে খবর, ঘটনার পরেই দু’পক্ষ নিজেদের মধ্যে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছে। তারপরেও ওই তরুণীর অভিযোগ জমা নেওয়া হয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘তদন্ত শুরু হয়েছে, বুধবার কলকাতার অভিযোগকারী তরুণী এবং বোলপুরের ওই ব্যবসায়ীকে ডাকা হয়েছে। পুলিশ তো অভিযোগ নেবে, তাতে সমস্যা কিসের?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy