কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন এক যৌনকর্মী। রবিবার কলকাতার বড়তলা থানায় গিয়ে অভিযোগকারিণী বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে সুকান্তের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। যৌনকর্মীদের প্রসঙ্গ টেনে পুলিশের উদ্দেশে কুকথা বলার অভিযোগ উঠেছে সুকান্তের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। সুকান্তকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি জানিয়েছে শাসক তৃণমূল।
শুক্রবার ভবানীপুরে গেলে বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে বাধা দেয় পুলিশ। অভিযোগ, সেই সময়েই কর্তব্যরত পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে সুকান্ত বলেন, “আপনারা (পুলিশ) আইনটাকে সোনাগাছির যৌনকর্মীতে পরিণত করেছেন!” তার পরেই সুকান্তের মন্তব্যকে ‘অশালীন এবং অসম্মানজনক’ বলে তোপ দাগে তৃণমূল। রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা সুকান্তের উদ্দেশে বলেন, “আপনি ক্ষমা চেয়ে নিন। আপনাকে কে এই অধিকার দিয়েছে?” তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “যৌনকর্মীদের লড়াই বোঝেন না বলেই ওই কুৎসিত মন্তব্য করেছেন সুকান্ত।”
আরও পড়ুন:
বিতর্কের মধ্যেই রবিবার সকালে সুকান্ত জানিয়ে দেন, তিনি নিজের বক্তব্য থেকে সরছেন না। তিনি বলেন, “আমি কোনও ব্যক্তি-পুলিশ কিংবা তাঁর পরিবার নিয়ে কিছু বলিনি। আমি পুলিশ বাহিনী সম্পর্কে বলেছি।” তাঁর সংযোজন, “সোনাগাছির মহিলাদের তাও সম্মান আছে। নীতি আছে। এই রাজ্যের পুলিশের তা-ও নেই। সাধারণ মানুষের চোখে এই বাহিনী নীতিহীন, আদর্শহীন, সম্মানহীন।” রবিবার রাতে আনন্দবাজার ডট কম-কে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুকান্ত মজুমদারকে ভয় পাচ্ছেন। তাই আটকানোর জন্য এই সব করাচ্ছেন। আমি আগেও বলেছি, আবার বলছি, আমার মন্তব্য পুলিশ সম্পর্কে, অন্য কারও সম্পর্কে নয়।” মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে সুকান্তের সংযোজন, “অনুব্রত মণ্ডলের পাপ ঢাকার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন আমার এই মন্তব্যকে নিয়ে রাজনৈতিক স্টান্টবাজি করছেন।” অন্য দিকে, সুকান্তের মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন যৌনকর্মীরাও। সোমবার বিকেল ৪টে নাগাদ সোনাগাছির শীতলা মন্দিরের কাছে একটি প্রতিবাদী জমায়েতের ডাক দেওয়া হয়েছে।