ছিনতাইকারীদের বাধা দিতে গিয়ে ডান হাতের অর্ধেক খুইয়েছেন হাওড়া-পুরী ধৌলি এক্সপ্রেসের যাত্রী সরমা হাজরা। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে তাঁর। দুটো হাসপাতাল ঘুরে এখন এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন বেহালার ওই বাসিন্দা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল। অন্য দিকে, ধৃত দুই ছিনতাইকারীকে সোমবার হাজির করানো হয়েছে তমলুক আদালতে। তাদের টিআই প্যারেডের আবেদন করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
এসএসকেএম সূত্রে খবর, একাধিক বার রক্ত দিতে হয়েছে সরমাকে। রোগিণী এখন রয়েছেন ট্রমা কেয়ারের রেড জ়োনে। চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখছেন। প্রথমে সরমাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল খড়্গপুর রেলওয়ে হাসপাতালে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা হয়। এর পর গ্রিন করিডর করে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। প্রথমে সরমাকে ভর্তি করানো হয়েছিল কোঠারি মেডিক্যাল সেন্টারে। পরে রবিবারই এসএসকেএমে স্থানান্তর করা হয়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, সরমার ডান হাত মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রবিবারই তাঁকে এক বার রক্ত দিতে হয়েছে। সোমবার আবার এক বার রক্ত দেওয়া হয়েছে। এমন একটি ঘটনার পর স্বাভাবিক ভাবেই আতঙ্কিত মহিলা। তাঁর সমস্ত রকমের চিকিৎসা চলছে।
সরমার স্বামী অরূপ হাজরা জানিয়েছেন, রবিবার সকালে খড়্গপুর যাওয়ার জন্য হাওড়া থেকে ১২৮২১ ধৌলি এক্সপ্রেস ধরেছিলেন তাঁরা। পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার কাছে তাঁর স্ত্রী ছিনতাইকারীদের খপ্পরে পড়েন। সরমার গলার হার ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে দু’জন। সরমা বাধা দিলে তাঁকে ধাক্কা দিয়ে ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়া হয়। স্ত্রীয়ের ডান হাতের অর্ধেক কাটা পড়েছে। তিনি অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত সামসাদ মহম্মদ এবং মহম্মদ ইমরানকে সোমবার তমুলক আদালতে হাজির করানো হয়েছে। হাওড়ার দুই বাসিন্দার বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৩০৪(২), ৬২, ১১৭ (৩) এবং ১২৫(বি) ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। তাদের হেফাজতে নিতে চেয়ে টিআই প্যারেডের আবেদন জানানো হয়েছে আদালতে। খড়্গপুর ডিভিশনের জিআরপির এসআরপি দেবশ্রী সান্যাল বলেন, ‘‘সব দিক আমরা খতিয়ে দেখছি। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে।’’