E-Paper

পুলিশের চোখে ধুলো দিতেই অস্ত্র পাচারে নামানো হয় মহিলাকে

অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় বিহার-যোগ রয়েছে বলে দাবি করেছে কলকাতা পুলিশ। পটনা থেকে অস্ত্রগুলি আনা হচ্ছিল বলে প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছে পুলিশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২৫ ০৯:৫৩
পুলিশের নজর এড়াতেই মহিলাকে অস্ত্র কারবারিরা কাজে লাগিয়েছিল বলে অনুমান।

পুলিশের নজর এড়াতেই মহিলাকে অস্ত্র কারবারিরা কাজে লাগিয়েছিল বলে অনুমান। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

পুলিশের নজর এড়াতেই অস্ত্র পাচারে এক মহিলাকে ব্যবহার করেছিল কারবারিরা। সন্দেহ এড়াতেই পূর্ব অপরাধের তেমন কোনও রেকর্ড না-থাকা ওই মহিলাকে কাজে লাগানো হয়। আনন্দপুরে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে এমনই মনে করছে পুলিশ। অস্ত্র উদ্ধারের এই ঘটনায় বিহার-যোগ রয়েছে বলে দাবি করেছে কলকাতা পুলিশ। পটনা থেকে অস্ত্রগুলি আনা হচ্ছিল বলে প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছে পুলিশ। অস্ত্র পাচারের এই ঘটনায় যে আন্তঃরাজ্য পাচার-চক্র যুক্ত, সে ব্যাপারে কার্যত নিশ্চিত তদন্তকারীরা।

রবিবার আনন্দপুরের নোনাডাঙা থেকে দশটি আগ্নেয়াস্ত্র-সহ এক মহিলা এবং এক যুবককে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। ধৃত দু’জনের নাম আজিজ মোল্লা ও ময়না মাঝি। আজিজ হুগলির পান্ডুয়ার বাসিন্দা। ময়নার বাড়ি বর্ধমানের কাটোয়ায়। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জেনেছে, বিহারের পটনা থেকে অস্ত্র নিয়ে ট্রেনে করে বর্ধমানে এসেছিল তারা। সেখান থেকে একাধিক গণপরিবহণ পাল্টে কলকাতায় আসে আজিজ ও ময়না। ধৃতদের কাছ থেকে বেশ কিছু গণপরিবহণের টিকিট মিলেছে বলে সোমবার আদালতে দাবি করেছে এসটিএফ। ধৃতদের এ দিন ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাদের ১২ এপ্রিল পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

প্রাথমিক ভাবে ধৃতদের বিরুদ্ধে পূর্ব অপরাধের কোনও তথ্য পাননি তদন্তকারীরা। দু’জনেই মূলত অস্ত্র পৌঁছে দেওয়ার কাছ করছিল। পরিচিত কেউ তাদের এই কাজে লাগিয়েছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। পুলিশের নজর এড়াতেই ওই মহিলাকে অস্ত্র কারবারিরা কাজে লাগিয়েছিল বলে অনুমান। পুলিশি জেরাতেও মহিলা এমনই দাবি করেছে বলে খবর। তবে, কোথায়, কী উদ্দেশ্যে ওই সমস্ত অস্ত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তা জানতে পারেননি তদন্তকারীরা। লালবাজারের এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘অস্ত্রগুলি কোনও অপরাধের উদ্দেশ্যে জড়ো করা হচ্ছিল কিনা, তা জানার চেষ্টা হচ্ছে। এই ঘটনার পিছনে অস্ত্র পাচারের বড় কোনও মাথা থাকতে পারে। তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Illegal Arms Illegal Arms Racket

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy