দিল্লিতে চলমান কৃষক প্রতিবাদ থেকে বয়স্ক ও মহিলাদের ঘরে ফিরে যেতে বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। ‘মহিলা কিষাণ দিবস’ উপলক্ষে নকল বিধানসভা অধিবেশন করে সর্বোচ্চ আদালতের ওই মন্তব্যের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ করলেন বিভিন্ন কৃষক ও মহিলা সংগঠনের কর্মীরা। মহিলা-মঞ্চ থেকে ঘোষণা করা হল, যে কোনও আন্দোলন বা প্রতিবাদে অংশগ্রহণ করা মহিলাদের অধিকার। কেন্দ্রের কৃষি আইন বাতিলের দাবিতেও প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে নকল অধিবেশনে।
কেন্দ্রীয় কৃষি আইন এবং বিদ্যুৎ (সংশোধনী) বিল প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনের অঙ্গ হিসেবে সোমবার দেশ জুড়ে ‘মহিলা কিষাণ দিবস’ পালনের ডাক দিয়েছিল কৃষক সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি। তাদের সঙ্গেই বিভিন্ন মহিলা সংগঠন যৌথ ভাবে এ দিন জমায়েত করেছিল ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে ধর্না-মঞ্চের সামনে। ওই মঞ্চকেই বদলে নেওয়া হয় নকল বিধানসভায়। সেখানে বিভিন্ন সংগঠনের নেত্রীরা বলেন, কৃষিকাজ এবং কৃষক পরিবারের টিকে থাকার পিছনে মহিলাদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। মহিলাদের এই শ্রমের স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি তোলেন তাঁরা। মোট ৯টি প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে নকল অধিবেশনে। যার মধ্যে রয়েছে মহিলাদের প্রতিবাদ থেকে বিরত থাকতে বলার জন্য প্রধান বিচারপতির ‘ক্ষমা চাওয়া’র দাবিও। কেন্দ্রের তিনটি কৃষি আইন বাতিল এবং উৎপাদন খরচের দেড় গুণ হারে ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ঘোষণার দাবিও রয়েছে প্রস্তাবগুলির মধ্যে। সিপিআই (এম-এল) লিবারেশনের সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্যও এ দিন বলেছেন, প্রতিবাদে নেমেই দেশ জুড়ে মহিলারা তাঁদের অবস্থান বুঝিয়ে দিয়েছেন।
নকল অধিবেশন শেষে এ দিন সন্ধ্যায় ধর্মতলা থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত মশাল মিছিল করেছেন মহিলারা। কৃষকদের আন্দোলনের সমর্থনেই সমন্বয় কমিটির রাজ্য শাখার ডাকে ওয়াই চ্যানেলে লাগাতার অবস্থান চলছে। এর পরে কাল, বুধবার থেকে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে অবস্থান হবে দু’দিনের। সেই কর্মসূচিতে যোগ দেবে বামফ্রন্ট ও সহযোগী মিলে ১৬ দল। পরে আবার ওয়াই চ্যানেলের ধর্না-স্থলেই লাগাতার অবস্থান চলবে।