পশ্চিমবঙ্গের সুসংহত সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে ১২ কোটি ৫০ লক্ষ ডলার (প্রায় ১,০০০ কোটি টাকা) অর্থ সাহায্যের সিদ্ধান্ত নিল বিশ্বব্যাঙ্ক। সম্প্রতি রাজ্য সরকারকে চিঠি পাঠিয়ে বিশ্বব্যাঙ্কের তরফে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।
রাজ্য সরকারের কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্যসাথীর মতো উন্নয়ন কর্মসূচিতে এটি বড় আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।
প্রথম তৃণমূল সরকারের সময় থেকেই মহিলাদের ক্ষমতায়ন এবং সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে একের পর এক প্রকল্প গ্রহণ করেছে রাজ্য। সরকারের দাবি, বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী বা হালে লক্ষ্মীর ভান্ডার মহিলাদের ক্ষমতায়নের পথে সহায়ক প্রকল্প। এতে যেমন মহিলাদের আয় সুনিশ্চিত করা সম্ভব, তেমনই তা নারী শিক্ষা-স্বাস্থ্যের উন্নতি, বাল্যবিবাহ রোধ বা সামগ্রিক অর্থনীতি সচল করার পথে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
আরও পড়ুন:
নীলবাড়ির লড়াইয়ে জিতে তৃতীয় বারের জন্য সরকার গঠনের পরেই সামাজিক ক্ষেত্রে বরাদ্দ আরও বাড়ানোর পথে হাঁটার বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, অন্য ক্ষেত্রগুলিতে অপ্রয়োজনীয় খরচ বাঁচিয়ে বা নতুন প্রকল্পের পরিকল্পনায় কড়াকড়ি করেও সামাজিক প্রকল্পগুলি চালিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। সে সময়ই বিশ্বব্যাঙ্কের কাছে ঋণের আবেদন জানানো হয়েছিল। সে সময় সামাজিক সুরক্ষার প্রশ্নে বিধবা, বিশেষ ভাবে সক্ষম মহিলাদের জন্য রাজ্যের পদক্ষেপ এবং কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর মতো মহিলাদের ক্ষমতায়ন প্রকল্পগুলিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ভূমিকার প্রশংসাও করেছিল বিশ্বব্যাঙ্ক।
অগস্টে বিশ্বব্যাঙ্কের তরফে ঋণ দেওয়ার কথা বিবেচনা করার বার্তা দেওয়া হয়েছিল রাজ্যকে। এ বার রাজ্যের কাছে সেই চিঠি এল।
(এই প্রতিবেদনটি প্রথমে লেখার সময় ভুলবশত ১২ কোটি ৫০ লক্ষ ডলারের পরিবর্তে ১ কোটি ২৫ লক্ষ ডলার লেখা হয়েছিল। অনিচ্ছাকৃত ত্রুটির জন্য আমরা দুঃখিত)।