Advertisement
E-Paper

যোগের ডিপ্লোমা কোর্স বিশ্বভারতীতে

চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই বিশ্বভারতীতে শুরু হতে চলেছে এক বছরের ‘পিজি ডিপ্লোমা ইন যোগা এডুকেশন’-এর পাঠ্যক্রম।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০১৬ ০১:১৮
বিশ্ব যোগ দিবসে প্রধানমন্ত্রী। নয়া দিল্লির রাজপথে। ফাইল চিত্র।

বিশ্ব যোগ দিবসে প্রধানমন্ত্রী। নয়া দিল্লির রাজপথে। ফাইল চিত্র।

চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই বিশ্বভারতীতে শুরু হতে চলেছে এক বছরের ‘পিজি ডিপ্লোমা ইন যোগা এডুকেশন’-এর পাঠ্যক্রম।

যোগ-ব্যায়ামের জনপ্রিয়তা, উপকারিতাকে সামনে রেখে আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের আগেই ওই পাঠ্যক্রম চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। কোর্স চালুর বিষয়ে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সম্মতি মিলেছে বলেও জানা গিয়েছে।

প্রাথমিক ভাবে বিনয় ভবনের শারীরশিক্ষা বিভাগের আওতায় থাকছে ওই পাঠ্যক্রম। সব ঠিক থাকলে, ইউনেস্কো ঘোষিত ২১ জুন আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের আগেই আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন হয়ে যাবে বলে আশাবাদী কর্ত়ৃপক্ষ। বিশ্বভারতীর অস্থায়ী উপাচার্য অধ্যাপক স্বপন দত্ত জানান, শুধু যোগ বিষয়ের পাঠ্যক্রম নয়। পোলট্রি, লাইব্রেরি সায়েন্সের মতো বিষয়ের পাঠ্যক্রম চালু করা নিয়েও আলোচনা চলছে।

শতাব্দী প্রাচীন কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান বিশ্বভারতীর নাম আন্তর্জাতিক স্তরে সুবিদিত। বিশ্বজুড়ে যোগ ও ব্যায়াম নিয়ে সাম্প্রতিক কালের চর্চা এবং আনুষ্ঠানিক ভাবে পঠনপাঠন নিয়ে আলোচনা চলছিল দীর্ঘ দিন। ভারতের প্রাচীন এই বিষয় নিয়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত আনুষ্ঠানিক ভাবে পঠনপাঠন চালু করা নিয়ে সংশ্লিষ্ট সব মহলে আলোচনা হয়েছে বিস্তর। ব্যতিক্রম ছিল না বিশ্বভারতীও। বিনয় ভবনের শারীরশিক্ষা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সমীরণ মণ্ডল বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরের নির্দেশ মেনে ভবনের অধ্যক্ষা অধ্যাপিকা সবুজকলি সেন এবং উপাচার্যের সক্রিয় সহায়তায় চলতি শিক্ষাবর্ষে এই পাঠ্যক্রম চালু হচ্ছে। বিজ্ঞপ্তিও দেওয়া হয়েছে।”

বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে, বিনয়ভবনের আওতায় থাকা শারীরশিক্ষা বিভাগের ইউজি, পিজি এবং গবেষণা নিয়ে বিভিন্ন স্তরের পাঠ্যক্রমে পড়ুয়ারা যোগা বিষয় নিয়ে কিছু নম্বর পড়াশোনা করত। ওই যোগ বিষয়ের অধ্যাপক তথা বিভাগীয় প্রধান সমীরণবাবু ভবনের অধ্যক্ষা এবং বিশ্বভারতীর উপাচার্যের সঙ্গে পরামর্শ করে এক বছরের ওই পিজি ডিপ্লোমা পাঠ্যক্রম চালু করতে উদ্যোগী হন। তৈরি হয় পাঠ্যক্রম।

বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’টি সেমেস্টারে সেল্ফ ফাইনান্সিং পদ্ধতিতে পড়ানো হবে। মোট থাকছে ৪০টি আসন। এর মধ্যে ১০টি আসন সংরক্ষিত থাকছে বিদেশী পড়ুয়াদের জন্য। বাকি আসনে ভারতীয়রা ভর্তি হতে পারবেন। যোগ্যতামান যে কোনও বিষয়ে স্নাতক। ভারতীয়দের জন্য ৩০ হাজার টাকা এবং বিদেশিদের জন্য ৫০ হাজার টাকা কোর্স ফি ধার্য করেছে বিশ্বভারতী। কোর্স শেষে মিলবে সার্টিফিকেট।

দু’টি সেমেস্টারে পড়তে হবে মোট ১০০০ নম্বর। যার মধ্যে ৫০০ নম্বর থিওরি এবং ৫০০ নম্বর প্রাকটিক্যাল। পড়ানো হবে যোগার ইতিহাস, যোগার বিভিন্ন ধাপ এবং প্রাকৃতিক চিকিৎসা-সহ নানা বিষয়। জুলাই মাস থেকে পঠনপাঠন শুরু হবে।

সূত্রের খবর, আনুষ্ঠানিক ভাবে এই পাঠ্যক্রম চালু হওয়ার পরে যোগ নিয়ে আলাদা আস্ত একটি বিভাগ করার পরিকল্পনা রয়েছে। বিনয়ভবনের মাঠে যোগ গ্রাম করারও বিষয়টিও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের ভাবনায় রয়েছে।

বিনয়ভবনের অধ্যক্ষা বলেন, “গত শিক্ষাবর্ষ থেকেই উদ্যোগ শুরু হয়েছিল। যোগের চাহিদা ও ব্যবহারকে সামনে রেখে পাঠ্যক্রমে নিয়ে আসার পরিকল্পনা। কোর্স সম্পূর্ণ করলে এতে ছাত্রছাত্রীদের কর্মসংস্থানের সুযোগও থাকছে।’’

যেমন— বিভিন্ন স্কুল, কলেজে কর্মসংস্থানের সুযোগ থাকছে। বিকল্প চিকিৎসা বিজ্ঞানের চর্চা যেখানে হয় সেখানে, তা ছাড়াও ব্যক্তিগত উদ্যোগে কর্মসংস্থানের সুযোগ থাকছে। কোর্সের সার্টিফকেট দেখিয়ে বিদেশেও কাজ মিলতে পরে। মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক সূত্রের খবর, এই শিক্ষাবর্ষ থেকে দেশের ছ’টি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগা বিষয়ক নিয়মিত পাঠ্যক্রম শুরু হচ্ছে।

ওই সূত্রের দাবি, উত্তরাখণ্ডের হেমবতী নন্দন বহুগুণা গরওয়াল বিশ্ববিদ্যালয়, কেরল কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, কর্ণাটকের ইন্দিরা গাঁধী জাতীয় ট্রাইবাল বিশ্ববিদ্যালয়, মণিপুর বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্বভারতী এবং আজমিরের কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় রাজস্থান অথবা গাঁধীনগরের কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় গুজরাটে এই যোগ বিষয়ক পাঠ্যক্রম চালু হওয়ার কথা।

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy