তাপমাত্রা নামতে শুরু করলেও ডেঙ্গির প্রকোপ কমেনি। সোমবার ইএম বাইপাস লাগোয়া একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় ভাটপাড়ার বাসিন্দা নিখিল দাসের (২৮)। দিন পাঁচেক আগে তিনি ওই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। পরিবারের অভিযোগ, দেরিতে চিকিৎসা শুরু করেছে হাসপাতাল। এমনকি কার্যত বিনা চিকিৎসায় রোগীকে ফেলে রেখে কয়েক লক্ষ টাকা চিকিৎসার খরচ বাবদ নিয়েছে বলেও তাঁদের অভিযোগ।
স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুয়ায়ী, এ বছর উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় সবচেয়ে বেশি মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন ভাটপাড়ায়। গত জানুয়ারি থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত ভাটপাড়া পুর এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১২৪৭। গত ১৫ দিনে সেই সংখ্যা আরও বেড়েছে।
মৃত্যুর শংসাপত্রে কারণ হিসাবে ডেঙ্গির উল্লেখ থাকলেও নিখিলের মৃত্যু প্রসঙ্গে ভাটপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ মনোজ গুহ বলেন, ‘‘শুনেছি জ্বরে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে ডেঙ্গি কিনা, তা এখনই বলতে পারছি না। কাগজপত্র খতিয়ে দেখে বলতে পারব। তবে শুনেছিলাম, ওই যুবকের জন্ডিস হয়েছিল।’’
শীতের শুরুতেও রাজ্যে ডেঙ্গির প্রকোপ কেন? রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তীর কথায়, ‘‘এখন আর ডেঙ্গির দাপট নেই। কোথাও কোনও ঘটনা ঘটলে সেটা ব্যতিক্রম। তবে, ডেঙ্গিতে মৃত্যুর অভিযোগ খতিয়ে দেখতে হবে।’’
মৃতের পরিবার জানিয়েছে, বেসরকারি সংস্থার চাকুরে নিখিল গত বছর বিয়ে করেন। দিন আটেক আগে জ্বর হয়। ব্যারাকপুরের এক ডাক্তারের পরামর্শে তিনি সল্টলেকের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন।
অবস্থার অবনতি হওয়ায় দিন পাঁচেক আগে ইএম বাইপাসের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁদের নিখিলের শারীরিক অবস্থা নিয়ে কিছু জানাননি। দু’দফায় তাঁদের থেকে সাত লক্ষ আশি হাজার টাকা নেওয়া হয়। নিখিলের মা মাধবীদেবী বলেন, ‘‘ওর বাবার কিছু দিন আগে পেসমেকার বসেছে।
ছেলেটা ফিরে আসবে বলে যথাসাধ্য খরচ করেছিলাম।’’ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করা হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy