Advertisement
E-Paper

স্বামীকে মার, যুবতীর হাত-পা বেঁধে গণধর্ষণ খড়গপুরে

প্লাস্টিক কুড়িয়ে বাড়ি ফিরছিলেন স্বামীর সঙ্গে। স্বামী শৌচকর্ম করতে যাওয়ায় খালপাড়েই দাঁড়িয়েছিলেন বছর আঠাশের ওই যুবতী।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০১৮ ০০:২৪
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

প্লাস্টিক কুড়িয়ে বাড়ি ফিরছিলেন স্বামীর সঙ্গে। স্বামী শৌচকর্ম করতে যাওয়ায় খালপাড়েই দাঁড়িয়েছিলেন বছর আঠাশের ওই যুবতী। তখনই তাঁর উপর চড়াও হয়ে কিছুটা দূরে টেনে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল পাঁচ যুবকের বিরুদ্ধে। যুবতীর স্বামীকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। বুধবার রাতে খড়্গপুর-২ ব্লকের জকপুরে কাটাগেড়্যা গ্রামের এই ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

নির্যাতিতা বালিচকের বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার সকালে খড়্গপুর গ্রামীণ থানায় পাঁচ জন যুবকের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়েছে। শারীরিক পরীক্ষায় প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে বলেও পুলিশ সূত্রের দাবি।

ঘটনার পরেই দুই অভিযুক্ত খাদু মুর্মু ও গণেশ হেমব্রমকে পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থানীয়রা। তাদের বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক চারদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে আরও এক জনকে গ্রেফতার করা হয়। খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী বলেন, “আমরা অভিযোগ পাওয়ার পরে গণধর্ষণের মামলা রুজু করেছি। তিনজন ধরা পড়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তদন্ত চলছে।”

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বামী-স্ত্রী মিলে দিনভর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে প্লাস্টিক কুড়িয়ে যা আয় হয়, তাই দিয়েই চলে তাঁদের সংসার। বুধবারও জকপুরে রেললাইনের ধারে পড়ে থাকা প্লাস্টিক কুড়িয়ে বাড়ির ফিরছিলেন তাঁরা। রাত ৮টা নাগাদ কাটাগেড়্যা খালের কাছে শৌচকর্ম করতে গিয়েছিলেন স্বামী। অভিযোগ, সেই সময় প্রায় পাঁচ জন যুবক এসে তাঁদের কাছে খালপাড়ে আসার কারণ জানতে চায়। তারপরেই শুরু হয় মারধর। প্রথমে ওই যুবতীর স্বামীকে মারধর করে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপরে তাঁকে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করা হয়।

পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার পরে বাসিন্দাদের হাতে ধরা পড়ে যায় দুই অভিযুক্ত। তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরে গ্রেফতার করা হয় আরও এক জনকে। নির্যাতিতার অভিযোগ, ‘‘খালপাড়ে আমরা কেন এসেছি প্রশ্ন করে অন্ধকারে পাঁচ জন যুবক আমাদের মারধর শুরু করে। এর পরেই ওরা স্বামীকে মারতে-মারতে কিছুটা দূরে নিয়ে যায়। আমাকেও মারধর করা হয়। তারপর হাত-পা ধরে রেখে ধর্ষণ করা হয়। আমি ওদের শাস্তি চাই।”

Rape Girl Police Crime Arrest
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy