Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪
youths

করোনা-যুদ্ধে ওয়েবসাইট দুই তরুণের

একটি ওয়েবসাইট চালু করেছেন, যার নাম দিয়েছেন ‘কোভিড হেল্পলাইন কোব ডাটাবেস’। সেখানে জরুরি পরিষেবার তালিকা রেখেছেন।

সাগ্নিক রায় (বাঁ দিকে), রাতুল তরফদার (ডান দিকে)

সাগ্নিক রায় (বাঁ দিকে), রাতুল তরফদার (ডান দিকে)

নমিতেশ ঘোষ
কোচবিহার শেষ আপডেট: ১০ মে ২০২১ ০৫:০১
Share: Save:

দু’জনেই তরুণ। পড়াশোনায় সময় কাটে। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতিতে ‘যুদ্ধে’ নেমেছেন তাঁরা। কোচবিহারের ওই দুই তরুণের এক জন রাতুল তরফদার, অন্য জন সাগ্নিক রায়। একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেছেন তাঁরা। সেখানে চিকিৎসক থেকে অক্সিজেন, হাসপাতালের বেড থেকে ওষুধ— সব কিছুর তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। ঘুরে ঘুরে সে সব সংগ্রহ করছেন তাঁরা। সেই সঙ্গে করোনায় অসুস্থ কারও অসুবিধার কথা জানলে সেখানে হাজির হওয়ার চেষ্টা করছেন। কোচবিহারের ওই দু’জন পড়াশোনার সূত্রে অনেক দিন ধরে কলকাতায় থাকেন। লকডাউন ওঁদের বাড়িতে ফিরিয়েছে। কলকাতা থেকে কোভিড-যুদ্ধের হাতেখড়ি নিয়ে নিজের শহরে ফিরে একই কাজ শুরু করেছেন তাঁরা। দু’জনেই বলেন, “শুধু আমরা না, সঙ্গে অনেকে রয়েছেন। প্রত্যেকেই নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন।”

কী করছেন ওঁরা? তাঁরা জানান, একটি ওয়েবসাইট চালু করেছেন, যার নাম দিয়েছেন ‘কোভিড হেল্পলাইন কোব ডাটাবেস’। সেখানে জরুরি পরিষেবার তালিকা রেখেছেন। অ্যাম্বুল্যান্স, প্রতিষেধকের রেজিস্ট্রেশন, হাসপাতাল ও বেড, খাদ্যসামগ্রী ও জল সরবরাহ, ব্লাড ও প্লাজ়মা, অক্সিজেন, ওষুধের দোকান, টেলি-মেডিসিন, ভলান্টিয়ার সার্ভিস, রেস্তোরাঁ, জরুরি তথ্য ও ল্যাবরেটরি টেস্ট বিভাগের তথ্য রেখেছেন তাতে। প্রত্যেকটি বিভাগে রয়েছে নির্দিষ্ট কিছু নাম ও ফোন নম্বর। ওঁরা জানান, তাঁরা ছাড়াও দেবলীনা নন্দী, প্রিয়স্মিতা দত্ত, সাগ্নিক চক্রবর্তী, প্রীতম মোদক নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের ফোন নম্বর সংগ্রহ করেন। ওই ওয়েবসাইটে টেলিমেডিসিন পরিষেবা দেওয়ার জন্য ৩৬ জন চিকিৎসকের নাম ও ফোন নম্বর রয়েছে। যাতে কেউ কালোবাজারি করার সুযোগ না পায়, সে দিকেও নজর রেখেছেন।

রাতুল জানান, অক্সিজেন নিয়ে অনেক কালোবাজারির অভিযোগ তাঁরা পেয়েছেন। সে জন্য ওই বিভাগে নিজেদের কয়েক জনের নাম তাঁরা রেখেছেন। কারও প্রয়োজন হলে তা নিজেরাই সংগ্রহ করে সেখানে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছেন।

রাতুল কলকাতায় আশুতোষ কলেজ থেকে জুলজি’তে অনার্স করেছেন। স্বাগ্নিক নেতাজি সুভাষ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েছেন। ওঁদের সঙ্গে যাঁরা রয়েছেন প্রায় প্রত্যেকেই পড়াশোনার মধ্যে রয়েছেন। রাতুল ২৮ এপ্রিল কোচবিহারে ফিরেছেন। তিনি বলেন, “কলকাতায় থাকার সুবাদে কিছু কোভিড হেল্পলাইন গ্রুপে কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলাম। কাছ থেকে দেখেছি মূমূর্ষ রোগীর অক্সিজেন, বেড, মেডিসিনের জোগান দিতে হিমসিম অবস্থা। আমাদের জেলায় যাতে সেই পরিস্থিতি না আসে সে জন্যে সবার এগিয়ে আসা উচিত।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Cooch Behar youths Coronavirus Information
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE