Advertisement
E-Paper

অকারণ ওভারটাইম বন্ধে উদ্যোগী সংসদ

ওভারটাইমে রাশ টানতে উদ্যোগী উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। সম্প্রতি নির্দেশিকা জারি করে সংসদ-সভাপতি জানিয়েছেন, অফিসের নির্ধারিত সময়, অর্থাৎ বেলা ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটার মধ্যেই হাতের কাজ শেষ করে ফেলতে হবে। অকারণে বেশি ক্ষণ অফিসে থেকে ওভারটাইম বাবদ টাকা নেওয়ার প্রবণতা বন্ধ করতেই সংসদের এই নির্দেশিকা।

সাবেরী প্রামাণিক

শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০১৪ ০৩:১৪

ওভারটাইমে রাশ টানতে উদ্যোগী উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। সম্প্রতি নির্দেশিকা জারি করে সংসদ-সভাপতি জানিয়েছেন, অফিসের নির্ধারিত সময়, অর্থাৎ বেলা ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটার মধ্যেই হাতের কাজ শেষ করে ফেলতে হবে। অকারণে বেশি ক্ষণ অফিসে থেকে ওভারটাইম বাবদ টাকা নেওয়ার প্রবণতা বন্ধ করতেই সংসদের এই নির্দেশিকা।

সামনেই উচ্চ মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ। সময়মতো ফল বের করার জন্য কিছু বিভাগের কর্মীকে বেশি ক্ষণ কাজ করতেই হয়। এমন সময়ে ওভারটাইম নিয়ে কড়াকড়ি করলে সময়ে ফল বের করাই কঠিন হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করছেন সংসদের কোনও কোনও কর্তা। তবে সভাপতি মহুয়া দাস জানিয়েছেন, ওভারটাইম একেবারে বন্ধ করে দেওয়া পরিকল্পনা তাঁদের নেই। অবাঞ্ছিত সুযোগ যাতে কেউ না নিতে পারে, সেটা দেখাই উদ্দেশ্য।

তা হলে হঠাৎ নতুন নির্দেশিকা কেন? সংসদের এক কর্তা বলেন, “সারা বছরই দেখা যায় কিছু কর্মী রাত পর্যন্ত দফতরে থেকে ওভারটাইমের জন্য বিশাল অঙ্কের বিল তুলছেন। এটা ঠিক নয়।” সংসদ সূত্রের খবর, বছরে ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকা ওভারটাইম বাবদ বিল হয়। সংসদের তৃণমূল এবং বাম প্রভাবিত দু’টি কর্মচারী সমিতি কর্তৃপক্ষের নতুন নির্দেশিকাকে স্বাগত জানাচ্ছে। তবে অপ্রয়োজনে উপরি রোজগারের প্রবণতা তাঁদের নেই বলে দাবি দুই সংগঠনেরই।

নিয়ম হল, কবে কত জন কর্মী ওভারটাইম করবেন, সে কথা জানিয়ে সংসদ কর্তৃপক্ষের আগাম অনুমতি নিতে হবে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্তাকে। কিন্তু নয়া ফরমানে জানানো হয়েছে, কী কাজের জন্য কর্মীদের বাড়তি সময় থাকতে হবে, তার গুরুত্ব কতখানি ইত্যাদি বিস্তারিত ভাবে জানাতে

হবে কর্তৃপক্ষকে। ওই ব্যাখ্যা গ্রহণযোগ্য মনে হলে তবেই মিলবে অনুমতি। সংসদ সূত্রের খবর, সম্প্রতি বেশ কিছু অস্থায়ী কর্মীকে স্থায়ী করা হয়েছে। তাই এখন আর কর্মীর অপ্রতুলতার কারণে ওভারটাইম বাবদ অতিরিক্ত ব্যয় যুক্তিসঙ্গত নয়। এক কর্তা জানান, “সম্প্রতি অভ্যন্তরীণ অডিটে জানতে চাওয়া হয়েছে, ওভারটাইমের এত বিলের কারণ কী?”

সংসদের প্রাক্তন কর্তারা জানাচ্ছেন, অকারণে ওভারটাইম করে বাড়তি রোজগারের প্রবণতা তাঁদের সময়ে প্রকট ছিল না। সংসদের প্রাক্তন সভাপতি মুক্তিনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “পরিস্থিতি নিশ্চয়ই এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে এমন নির্দেশিকা জারি করতে বাধ্য হয়েছেন সভাপতি।”

saberi pramanik hs
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy