বিরোধীদের ‘কুত্সা’র প্রতিবাদে হরিপালে মিছিল তৃণমূলের। ছবি: দীপঙ্কর দে।
শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় হয়ে রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, বেচারাম মান্না থেকে শেষে দলের মহাসচিব তথা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়--- সবারই গলায় ‘বিজেপি কোথাও নেই’-এর সুর।
রবিবার দুপুরে উত্তরপাড়ায় দলের কর্মিসভায় শাসক দলের সব নেতার গলাতেই হাজির বিজেপি-জুজু। পরিসংখ্যান বলছে, রাজ্যে এখন বিজেপির দুই সাংসদ এবং এক বিধায়ক। কিন্ত আগাগোড়া সব বক্তাই যে ভাবে বিজেপিকে গুরুত্ব দিলেন, তাতে না চাইলেও শেষ বিচারে মান্যতা পেয়ে গেল বিজেপির উপস্থিতি। বিরোধীদের প্রতি শিক্ষামন্ত্রীর কটাক্ষ, ‘‘এখন রাজ্যে দেখছি সিপিএম লাল থেকে গেরুয়া হয়েছে। বলছে না কি পদ্ম এ রাজ্যে ফুটবে। আগে কুঁড়ি ফুটিয়ে দেখাক, কুঁড়ি ফোটানোর ক্ষমতা নেই, বলে না কি পদ্ম ফোটাবে।’’
তবে দলীয় কর্মীদের নিয়েও শিল্পমন্ত্রীর গলায় ছিল রীতিমতো উষ্মা, ‘‘আমরা বোধহয় একটু আয়েসি হয়ে পড়েছি। বুথ স্তরে আদৌ মিটিং হচ্ছে না।’’ আয়েস তথা ঘুম ছেড়ে দলকে জাগার বার্তাই এ দিন উত্তরপাড়ায় দলের কর্মিসভায় দিয়েছেন মহাসচিব। দলীয় কর্মীদের সতর্ক করে তিনি বলেন, ‘‘ব্যক্তিগত স্বার্থে কেউ দলের পতাকা ব্যবহার করবেন না।’’
দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘লোকসভা ভোটে কিছু জায়গায় আমরা অ্যাসেস করতে পারিনি। বিজেপি হয়তো ভোট পেয়ে গিয়েছে কোনও কোনও ওয়ার্ডে। ভবিষ্যতে এ ব্যাপারে সকর্ত থাকতে হবে।’’
ফিরহাদ হাকিমও প্রধানমন্ত্রী তথা বিজেপিকে এক হাত নেন। ১০০ দিনের কাজের টাকা আসছে না দাবি করে তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। বেচারাম মান্না বিজেপি উত্থানকে কেউটে সাপের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, ‘‘জমিতে কেউটে সাপ দেখলে লাঠি হাতে গর্তে ঢুকিয়ে দিতে হয়। ওদের নিয়েও একই রকম সতর্ক থাকতে হবে আপনাদের।’’ এ দিন উপস্থিত ছিলেন সাংসদ রত্না দে নাগ, দলের জেলা সভাপতি তপন দাশগুপ্ত, জেলা যুব সভাপতি দিলীপ যাদব-সহ অন্য নেতানেত্রীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy