Advertisement
E-Paper

জমি-মালিকদের ক্ষতিপূরণের আশ্বাস

মজা দামোদর সংস্কারে যে সব চাষির জমি কাটা হয়েছে, তাঁদের ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিল সেচ দফতর। সপ্তাহ খানেক আগে উদয়নারায়ণপুরের ডিহিভুরসুট থেকে আমতার রঞ্জবাড় পর্যন্ত মজা দামোদর সংস্কারের কাজ শুরু হয়। এই সংস্কারের জন্য আলু চাষে ক্ষতির অভিযোগ তুলেছিলেন স্থানীয় চাষিরা। সেই চাষের ক্ষতি যাতে আর না হয় এবং যে সব চাষির জমি কেটে নেওয়া হয়েছে, তাঁদের ক্ষতিপূরণের দাবিতে সোমবার সকালে ডিহিভুরসুটে কয়েকশো চাষি সংস্কার কাজ বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভ দেখান। ঘটনাস্থলে আসেন সেচ দফতরের কর্তারা। পরে অবশ্য বিক্ষোভ থামে। কাজও শুরু হয়। সেচ দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘খালের জায়গায় যদি কেউ চাষ করেন, তার জন্য সেচ দফতরের কিছু করার নেই। সংস্কারের কাজ তো করতে হবে। তবে যদি মাটি কাটার ক্ষেত্রে কারও জমিতে হাত পড়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে।’’ সেচ দফতর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ২৫ কিলোমিটার ওই নিকাশি খালটি সংস্কার করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রায় আড়াই কিলোমিটার সংস্কারের কাজ হয়ে গিয়েছে। সংস্কারের কাজ করতে গিয়ে ডিহিভুরসুট এলাকায় সেচ দফতর চাষিদের জমি কেটে নিচ্ছে এবং খালের মাটি দু’ধারে ফেলার জন্য আলু চাষের দফারফা হচ্ছে বলে আগেই অভিযোগ তুলেছিলেন চাষিরা। এ দিন চাষিরা খালের পাড়ে বসে পড়েন। মাটি কাটা বন্ধ করে দেন। পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করেন। তাতেও সমাধান সূত্র মেলেনি। পরে দলবল নিয়ে সেখানে পৌঁছন স্থানীয় বিধায়ক সমীর পাঁজা। এর পরেই বিক্ষোভকারীরা হটে যান। বিকেলের দিকে কাজ শুরু হয়। কিছু বিক্ষোভকারীর অভিযোগ, বিধায়ক দলবল নিয়ে এসে হুমকি দিয়ে তাঁদের হটিয়ে দেন। বিধায়ক অবশ্য অভিযোগ মানেননি। তাঁর দাবি, ‘‘বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে বলা হয় যে খালটি সংস্কার করা হলে তাদেরই চাষের সুবিধা হবে। তাঁরা বুঝতে পেরে বিক্ষোভ বন্ধ করে দেন।’’ তছরূপের অভিযোগ। শিল্পী ভাতা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে এক উপভোক্তার কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগে চন্দ্রকোনা-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শম্ভুনাথ নায়েকের বিরুদ্ধে দলীয় স্তরে তদন্ত শুরু করল তৃণমূল। ভোটের আগে বিষয়টি নিয়ে বিরোধীরা যাতে সরব হতে না পারে সে ব্যাপারেও সতর্ক তৃণমূল।

নিজস্ব সংবাদদাতা, উদয়নারায়ণপুর

শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০১৫ ০১:২৯
চলছে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র।

চলছে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র।

মজা দামোদর সংস্কারে যে সব চাষির জমি কাটা হয়েছে, তাঁদের ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিল সেচ দফতর।

সপ্তাহ খানেক আগে উদয়নারায়ণপুরের ডিহিভুরসুট থেকে আমতার রঞ্জবাড় পর্যন্ত মজা দামোদর সংস্কারের কাজ শুরু হয়। এই সংস্কারের জন্য আলু চাষে ক্ষতির অভিযোগ তুলেছিলেন স্থানীয় চাষিরা। সেই চাষের ক্ষতি যাতে আর না হয় এবং যে সব চাষির জমি কেটে নেওয়া হয়েছে, তাঁদের ক্ষতিপূরণের দাবিতে সোমবার সকালে ডিহিভুরসুটে কয়েকশো চাষি সংস্কার কাজ বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভ দেখান। ঘটনাস্থলে আসেন সেচ দফতরের কর্তারা। পরে অবশ্য বিক্ষোভ থামে। কাজও শুরু হয়।

সেচ দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘খালের জায়গায় যদি কেউ চাষ করেন, তার জন্য সেচ দফতরের কিছু করার নেই। সংস্কারের কাজ তো করতে হবে। তবে যদি মাটি কাটার ক্ষেত্রে কারও জমিতে হাত পড়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে।’’

সেচ দফতর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ২৫ কিলোমিটার ওই নিকাশি খালটি সংস্কার করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রায় আড়াই কিলোমিটার সংস্কারের কাজ হয়ে গিয়েছে। সংস্কারের কাজ করতে গিয়ে ডিহিভুরসুট এলাকায় সেচ দফতর চাষিদের জমি কেটে নিচ্ছে এবং খালের মাটি দু’ধারে ফেলার জন্য আলু চাষের দফারফা হচ্ছে বলে আগেই অভিযোগ তুলেছিলেন চাষিরা। এ দিন চাষিরা খালের পাড়ে বসে পড়েন। মাটি কাটা বন্ধ করে দেন। পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করেন। তাতেও সমাধান সূত্র মেলেনি। পরে দলবল নিয়ে সেখানে পৌঁছন স্থানীয় বিধায়ক সমীর পাঁজা। এর পরেই বিক্ষোভকারীরা হটে যান। বিকেলের দিকে কাজ শুরু হয়।

কিছু বিক্ষোভকারীর অভিযোগ, বিধায়ক দলবল নিয়ে এসে হুমকি দিয়ে তাঁদের হটিয়ে দেন। বিধায়ক অবশ্য অভিযোগ মানেননি। তাঁর দাবি, ‘‘বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে বলা হয় যে খালটি সংস্কার করা হলে তাদেরই চাষের সুবিধা হবে। তাঁরা বুঝতে পেরে বিক্ষোভ বন্ধ করে দেন।’’

তছরূপের অভিযোগ। শিল্পী ভাতা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে এক উপভোক্তার কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগে চন্দ্রকোনা-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শম্ভুনাথ নায়েকের বিরুদ্ধে দলীয় স্তরে তদন্ত শুরু করল তৃণমূল। ভোটের আগে বিষয়টি নিয়ে বিরোধীরা যাতে সরব হতে না পারে সে ব্যাপারেও সতর্ক তৃণমূল।

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy