সোমবার বন্ধ হয়ে গেল খেতান ইলেকট্রিক্যালস-এর তারাতলার কারখানা। বেহাল আর্থিক দশার কারণ দর্শিয়ে ‘সাসপেনশন অব ওয়ার্ক’-এর নোটিস দেওয়া হয়েছে।
দু’বছর ধরেই ওই কারখানার আর্থিক হাল খারাপ হচ্ছিল। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, তারাতলার বৈদ্যুতিক পাখা কারখানায় উৎপাদন প্রায় তলানিতে এসে ঠেকেছিল। কর্তৃপক্ষের দাবি, কারখানা ভাল চলছিল না। কলকাতায় কর্মরত ৭১ জন শ্রমিককে সংস্থার ভিন্ রাজ্যের কারখানায় বদলি বা আগাম অবসরের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। অর্ধেক কর্মী আগাম অবসর নিলেও বাকিরা রাজি হননি।
এ দিন শ্রমিকেরা এসে নোটিস দেখে বিক্ষোভ শুরু করেন। তাঁদের অভিযোগ, শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা না-করেই কারখানা বন্ধ করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই শ্রম কমিশনারের দফতরে বৈঠকের কথা ছিল। তার আগেই কারখানা বন্ধ করার সিদ্ধান্তে প্রশ্ন তুলেছেন শ্রমিকেরা।
দেশ জুড়ে তিনটি কারখানা ও ১৯টি অফিস রয়েছে সংস্থার। ফরিদাবাদ, কলকাতা ও হায়দরাবাদে কারখানা রয়েছে। পাখা বিক্রেতাদের দাবি, মাল সরবরাহ নিয়ে সমস্যা অনেক দিনই চলছিল। ফরিদাবাদের কারখানা থেকে পণ্য এনে কাজ চালানোর চেষ্টা চলছিল। ফলে কিছু দিন ধরেই বাজার হারাচ্ছিল তারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, সংস্থার রাশ হাতে নিয়ে সুনীলকৃষ্ণ খেতান সম্প্রসারণ পরিকল্পনা রূপায়ণ করেন। সেই মতো নতুন নতুন পণ্য উৎপাদনের দিকে নজর দেয় সংস্থা। বিভিন্ন অ্যাপ্লায়েন্স ও সিএফএল লাইট তৈরি করতে শুরু করে। বড় বড় ব্র্যান্ডের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ে সংস্থা। নয়া ব্যবসায় বিপুল পরিমাণে লোকসান হয়। তা সামাল দিতে গিয়ে মার খায় পাখার ব্যবসাও। বিপণন-সহ বিভিন্ন বিভাগের পদস্থ কর্তারা আগেই সংস্থা ছেড়েছেন। সংশ্লিষ্ট শিল্পমহলের মতে, সব মিলিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে চলে যাওয়াতেই কারখানা বন্ধ করার রাস্তায় হেঁটেছেন খেতান ইলেকট্রিক্যালস কর্তৃপক্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy