Advertisement
E-Paper

নীতির অভাবে চালু হয়নি কিসান বাজার

জেলায় জেলায় বেসরকারি উদ্যোগে কৃষি বাজার তৈরি করার জন্য রাজ্য সরকার বিধানসভায় যে-বিল পেশ করেছিল, তা নিয়ে শাসক দলের মধ্যেই বিতর্ক শুরু হওয়ায় সেটি সিলেক্ট কমিটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই বিলের ভবিষ্যৎ কী, কেউই তা জানে না। এই অবস্থায় কৃষি বিপণন মন্ত্রী অরূপ রায় সোমবার জানান, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ৪৮টি কিসান বাজার (ঘোষণার সময় নাম দেওয়া হয়েছিল কিসান মান্ডি) তৈরি হলেও কোন নীতিতে সেগুলি পরিচালিত হবে, তা ঠিক না-হওয়ায় একটিও চালু করা যায়নি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০১৪ ০৩:০৯

জেলায় জেলায় বেসরকারি উদ্যোগে কৃষি বাজার তৈরি করার জন্য রাজ্য সরকার বিধানসভায় যে-বিল পেশ করেছিল, তা নিয়ে শাসক দলের মধ্যেই বিতর্ক শুরু হওয়ায় সেটি সিলেক্ট কমিটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই বিলের ভবিষ্যৎ কী, কেউই তা জানে না।

এই অবস্থায় কৃষি বিপণন মন্ত্রী অরূপ রায় সোমবার জানান, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ৪৮টি কিসান বাজার (ঘোষণার সময় নাম দেওয়া হয়েছিল কিসান মান্ডি) তৈরি হলেও কোন নীতিতে সেগুলি পরিচালিত হবে, তা ঠিক না-হওয়ায় একটিও চালু করা যায়নি। বাজার কবে চালু হবে, তা নির্দিষ্ট করে কেউ বলতে পারেননি।

রাজ্যের প্রতি ব্লকে একটি কিসান বাজার তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অনুযায়ী সম্পূর্ণ সরকারি উদ্যোগে ১৭৬টি কিসান বাজার তৈরির কাজে হাত দেয় সরকার। কৃষি বিপণন মন্ত্রী জানান, তার মধ্যে ৪৮টি বাজার তৈরি হয়ে গিয়েছে। বাকিগুলির নির্মাণকাজ চলছে। কিন্তু যে-সব বাজার তৈরি হয়ে পড়ে রয়েছে, সেগুলোই এখনও চালু করা যায়নি। কেন? অরূপবাবুর কথায়, “সরকারি বাজার চালু করার জন্য একটি যথাযথ পরিচালন ব্যবস্থা থাকা চাই। সেটাই এখনও তৈরি হয়নি। তবে পরিচালন নীতি তৈরি করে আগামী জানুয়ারিতে বাজারগুলি চালু করার চেষ্টা হচ্ছে।” তিনি জানান, ১৭৬টি বাজার তৈরির জন্য ইতিমধ্যে সরকারি কোষাগার থেকে ১০০০ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে।

কৃষি বিপণন দফতর সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে কিসান বাজারগুলির পরিচালন সমিতিতে থাকবেন স্থানীয় বিধায়ক, সরকার মনোনীত দু’জন অফিসার, পাঁচ জন চাষি, তিন জন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং ব্যাঙ্ক ও সমবায় সমিতির এক জন করে প্রতিনিধি। দফতরের এক কর্তা জানান, পশ্চিমবঙ্গ নিয়ন্ত্রিত বাজার আইন মেনে পরিচালন সমিতি তৈরি হবে। কিন্তু পরিচালন নীতি তৈরি না-হওয়া পর্যন্ত পরিচালন সমিতি গঠন করা যাবে না বলে জানান ওই কর্তা।

কিসান বাজার তৈরির কথা ঘোষণার সময় জানানো হয়েছিল, প্রতিটি বাজারে একটি হিমঘর থাকবে। কিন্তু কৃষি বিপণন মন্ত্রী এ দিন জানিয়ে দেন, সরকার আপাতত কোনও হিমঘর তৈরি করছে না। তবে বাজারের মধ্যে কিছুটা জায়গা ফাঁকা রাখা হচ্ছে। কোনও বেসরকারি সংস্থা চাইলে সেখানে হিমঘর তৈরি করতে পারে। অরূপবাবু জানান, রাজ্যে পুর বাজার ছাড়াও তাঁর দফতরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ৪২টি বাজার। বাকি সব বেসরকারি বাজার। বেসরকারি বাজার থেকে সরকারের কোনও আয় হয় না। সিলেক্ট কমিটিতে যাওয়া বিলে সেই আয়ের সংস্থানের কথা বলা হয়েছে।

arup roy kisan bajar
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy