Advertisement
E-Paper

নতুন কমিটি গড়ে ডানা ছাঁটা হল জাফারুলের

চৌমণ্ডলপুর ও মাখড়া গ্রাম যে দু’টি পঞ্চায়েত এলাকায়, সেখানে দল পরিচালনার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হল তৃণমূলের ইলামবাজার ব্লক সভাপতি জাফারুল ইসলামকে। তৃণমূল সূত্রের খবর, তাঁর বদলে এখন থেকে ওই এলাকা দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দলের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুস্তাক হোসেনকে। রবিবার বোলপুরে গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে দলের জেলা কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০১৪ ০২:৫৪

চৌমণ্ডলপুর ও মাখড়া গ্রাম যে দু’টি পঞ্চায়েত এলাকায়, সেখানে দল পরিচালনার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হল তৃণমূলের ইলামবাজার ব্লক সভাপতি জাফারুল ইসলামকে। তৃণমূল সূত্রের খবর, তাঁর বদলে এখন থেকে ওই এলাকা দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দলের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুস্তাক হোসেনকে। রবিবার বোলপুরে গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে দলের জেলা কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তৃণমূল সূত্রে খবর, বিজেপি-র প্রভাবকে রুখতে তৃণমূল যে সব কর্মসূচি নিয়েছে, দল পরিচালনায় নতুন এই এলাকা বিন্যাস তারই প্রথম পদক্ষেপ। বোলপুর, ইলামবাজার, সাঁইথিয়া ও সিউড়ি এই চারটি ব্লক থেকে মোট ৮টি পঞ্চায়েত এলাকা নিয়ে ‘পাড়ুই ব্লক’ করা হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে খবর। তারই সভাপতি হলেন মুস্তাক হোসেন। ওই আট পঞ্চায়েতের অন্যতম মঙ্গলডিহি ও বাতিকার পঞ্চায়েতের মধ্যে পড়ে চৌমণ্ডলপুর ও মাখড়া। দলীয় নেতৃত্ব অবশ্য এই পরিবর্তন নিয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি। ফোন করা হলেও এ নিয়ে মন্তব্য করেননি তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। জাফারুলের দাবি, “আমি এখনও ইলামবাজার ব্লকের দায়িত্বে রয়েছি। ওই দু’টি পঞ্চায়েত আমার এলাকাতেই পড়ে। এ দিন জেলা নেতৃত্বই যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নিয়েছে। আমার ডানা ছাঁটা হয়নি।” তবে মুস্তাক হোসেন বলেন, “দল এ দিন আমাকে নতুন যে দায়িত্ব দিল, তা যথা সম্ভব ভাল ভাবে পালন করব।”

এই জাফারুলের দাপটেই তৃণমূল পঞ্চায়েত ভোটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এলাকার সব ক’টি পঞ্চায়েত দখল করেছিল। কিন্তু লোকসভা ভোটের পর থেকেই ইলামবাজার ব্লকে দল পরিচালনা নিয়ে অস্বস্তিতে তৃণমূল। প্রথমে কানুরে এবং পরে ডোমনপুর দুই বিজেপি কর্মী খুনে জাফারুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়েছে। এমনকী, সাম্প্রতিক যে মাখড়া-কাণ্ড শাসক দলের অস্বস্তি বাড়িয়েছে, তাতেও নাম জড়িয়েছে সেই জাফারুলেরই। যদিও এফআইআর-এ নাম থাকার পরেও পুলিশ কোনও ক্ষেত্রেই ব্যবস্থা নেয়নি। বিজেপি-র অভিযোগ, শাসক দলের চাপেই পুলিশের এই ‘নিষ্ক্রিয়তা’।

দলীয় সূত্রের খবর, কয়েক মাসে বিজেপি-র উত্থানে জাফারুলের দাপট অনেকটাই খর্ব হয়েছে। জেলা তৃণমূলের একাংশের দাবি, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষের দায়িত্ব সামলে ওই এলাকায় জাফারুল ঠিক মতো তাঁর সাংগঠনিক দায়িত্ব সামলাতে পারছিলেন না। তাতে এলাকায় বিজেপি-র প্রভাব বাড়ছিল। সেই জন্য মুস্তাক হোসেনকে পাড়ুইয়ে নয়া দায়িত্ব দেওয়া হল। তাতে সংগঠনই আরও মজবুত হবে। বিজেপি-র জেলা সভাপতি দুধকুমার মণ্ডলের কটাক্ষ, “ভাবমূর্তি সামলাতে যে ভাবে আরাবুল ইসলামকে সরানো হল, জাফারুলের ডানা ছাঁটা তারই নতুন সংযোজন। তবে, এ ভাবে তৃণমূলের মুখরক্ষা হবে না।”

zafarul islam mustaq hussain makhra choumandalpur tmc
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy