কলকাতা পুরসভার নির্বাচন ১৮ এপ্রিলের পরিবর্তে জুন মাসে করার দাবি জানাল বামফ্রন্ট এবং বিজেপি। বামফ্রন্টের বক্তব্য, মেয়াদ ফুরনো ১৭টি পুরসভার নির্বাচন আগে করা দরকার। কলকাতা-সহ বাকি ৮১টি পুরসভার মেয়াদ শেষ হবে আগামী জুন মাসে। তাই সেগুলির ভোট জুনেই হোক। আর বিজেপি-র দাবি, সব ক’টি পুরসভার ভোটই জুন মাসে এক দিনে হোক। বামফ্রন্ট এবং বিজেপি-র প্রতিনিধিরা বৃহস্পতিবার পৃথক ভাবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সুশান্তরঞ্জন উপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে এই দাবি জানিয়েছেন। বিজেপি কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে পুরভোট করার দাবিও জানিয়েছে উপাধ্যায়ের কাছে।
রবীন দেবের নেতৃত্বে বামফ্রন্টের প্রতিনিধিরা এ দিন রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে অনুরোধ করেন, মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়া পুরসভাগুলির ভোট আগে হোক। কলকাতা-সহ ৮১টি পুরসভার ভোট জুন মাসে হোক। তাঁদের যুক্তি, এপ্রিল মাসে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলবে। ফলে তখন ভোটের প্রচারে মাইক ব্যবহার করা যাবে না। কমিশনকে না বললেও এপ্রিলে পুরভোটের সরকারি নির্ঘণ্ট সিপিএমের কাছে বাড়তি চিন্তার কারণ, কেননা, ১৪ থেকে ১৯ এপ্রিল তাদের পার্টি কংগ্রেস চলবে বিশাখাপত্তনমে। ফলে ওই সময়ে দলের রাজ্য ও জেলা স্তরের প্রায় সব নেতাই পার্টি কংগ্রেসে ব্যস্ত থাকবেন।
বিজেপি-র প্রতিনিধিদের তরফে অসীম সরকারের বক্তব্য, যে পুরসভাগুলির মেয়াদ জুনে শেষ হবে, সেগুলির ভোট এপ্রিলে হলেও জয়ীরা জুনের আগে দায়িত্ব নিতে পারবেন না। ফলে মধ্যবর্তী দু’ মাসে পুরসভার টাকা নয়ছয় হওয়ার আশঙ্কা থাকবে। আর পরীক্ষার মরসুম-জনিত অসুবিধা তো আছেই। অসীমবাবু আরও বলেন, “আমরা জুন মাসে একই দিনে সব ক’টা পুরসভার ভোট চাই। যাতে দুষ্কৃতীরা এক জায়গায় সন্ত্রাস করে আর এক জায়গায় সন্ত্রাস করতে যাওয়ার সুযোগ না পায়।”
রাজ্য নির্বাচন কমিশনার অবশ্য জানান, দুই দলের প্রতিনিধিদেরই তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গ পুর আইন অনুযায়ী যে কোনও পুরসভার মেয়াদ শেষ হওয়ার ছ’মাস আগে নির্বাচন করা যায়।
তাই আইনগত ভাবে সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করা সম্ভব নয়। তবে ১৮ এপ্রিল জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা ছিল বলে বিষয়টি রাজ্য সরকারের নজরে আনা হয়েছিল। সরকার জানিয়ে দিয়েছে, ওই পরীক্ষা পিছিয়ে গিয়েছে।
ফলে ওই দিন নির্বাচন করায় কোনও সমস্যা নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy