Advertisement
E-Paper

ফের মুখ ফেরাচ্ছে বর্ষণ, চিন্তায় শহরবাসী

ঘূর্ণাবর্তটি উত্তরে হেলতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা কমে গেল দক্ষিণে। তবে বৃষ্টি কমলেও কলকাতা ও লাগোয়া দক্ষিণবঙ্গে এখনই গরম বাড়বে না বলে মনে করছেন আলিপুর আবহাওয়া দফতরের বিজ্ঞানীরা। শুক্রবার থেকে রবিবার তিন দিনই রাতে বৃষ্টি পেয়েছে মহানগর। শনিবার তার কপাল খুলেছে! এসেছে মরসুমের প্রথম কালবৈশাখীও।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০১৪ ০৩:২৮

ঘূর্ণাবর্তটি উত্তরে হেলতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা কমে গেল দক্ষিণে। তবে বৃষ্টি কমলেও কলকাতা ও লাগোয়া দক্ষিণবঙ্গে এখনই গরম বাড়বে না বলে মনে করছেন আলিপুর আবহাওয়া দফতরের বিজ্ঞানীরা।

শুক্রবার থেকে রবিবার তিন দিনই রাতে বৃষ্টি পেয়েছে মহানগর। শনিবার তার কপাল খুলেছে! এসেছে মরসুমের প্রথম কালবৈশাখীও। আবহবিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশে থাকা ঘূর্ণাবর্ত এবং রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল থেকে বয়ে আসা বজ্রগর্ভ মেঘ দু’য়ের মিলনেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।

আবহবিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, ঘূর্ণাবর্তটি সোমবারও বাংলাদেশ ও সংলগ্ন এলাকার উপরে রয়েছে। তবে এ দিন তা কিছুটা উত্তরবঙ্গের দিকে সরে গিয়েছে। তার ফলেই কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা কমেছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। যদিও আবহাওয়া অফিসের কর্তারা বলছেন, “আজ, মঙ্গলবার দক্ষিণবঙ্গের কিছু কিছু এলাকায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে।”

হাওয়া অফিস সূত্রের খবর, ঝড়বৃষ্টি এবং ঘূর্ণাবর্তের ফলে শুক্রবার থেকেই আকাশ মেঘলা ছিল। তাই দিনের তাপমাত্রাও তেমন বাড়তে পারেনি। বরং টানা স্বাভাবিকের নীচেই ছিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা নেমে গিয়েছে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, স্বাভাবিকের থেকে ৪ ডিগ্রি নীচে। মে মাসের গোড়ায় দিনের তাপমাত্রা এতটা নেমে যাওয়াকে কিছুটা বিরল বলেই মনে করছেন আবহবিদেরা। এমন ঘটনা শেষ কবে ঘটেছিল, তা খুঁজতে নথিপত্র খুলে বসেছেন আবহাওয়া দফতরের বিজ্ঞানীরা।

তাপমাত্রার এমন পতন বিরল হোক বা না-ই হোক, টানা মেঘবৃষ্টির এই পালায় অবশ্য এপ্রিলের শেষে নাকাল করা গরম থেকে রেহাই পেয়েছিলেন শহরবাসী। এখন ভরা বৈশাখে সেই মেঘবৃষ্টির পালায় আবার লাগাম পড়ার কথা বলছেন আবহবিজ্ঞানীরা। আম-বাঙালির মনে তাই প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে, ফের কি হাজির হবে চাঁদি-পোড়ানো গরম?

আবহাওয়া দফতর কিন্তু এখনই তেমন ইঙ্গিত দিচ্ছে না। বরং আপাতত পরিস্থিতি গরম বাড়ার পক্ষে অনুকূল নয় বলেই মনে করছেন তাঁরা। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গোকুলচন্দ্র দেবনাথ বলছেন, “আগামী দিন দুয়েক তাপমাত্রা স্বাভাবিকের আশপাশেই ঘোরাফেরা করবে।” গরম নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠেছে, তেমনই ফের বৃষ্টি কবে মিলবে, তা নিয়েও নানা প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে শহর জুড়ে। আবহবিজ্ঞানীরা বলছেন, “সাধারণত গরমকালে ঝড়বৃষ্টির পিছনে দায়ী থাকে পুরুলিয়া, বাঁকুড়ার মতো ঝাড়খণ্ড লাগোয়া জেলা থেকে বয়ে আসা বজ্রগর্ভ মেঘ। ঘূর্ণাবর্তটি ফের দক্ষিণবঙ্গের দিকে সরে এলেও বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়তে পারে।”

সেই পরিস্থিতি ফের কবে তৈরি হয়, আপাতত সে দিকেই তাকিয়ে হাওয়া অফিস।

rain weather
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy