বিতর্কিত মন্তব্য ও কু-কথার যেন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে বিজেপি আর তৃণমূলে। সম্প্রতি আক্রমণকারী তৃণমূলীদের হাত কেটে নেওয়ার কথা বলে পিছিয়ে এসেছেন বীরভূমের বিজেপি নেতা দুধকুমার মণ্ডল। শনিবার আবার ধর্মতলার মোড়ে ওয়াই চ্যানেলে বেঙ্গল ইমাম অ্যাসোসিয়েশনের সভায় দুধকুমারের মন্তব্যের পাল্টা হিসাবে তৃণমূল সাংসদ ইদ্রিস আলি বলেন, “আমি বলছি, কেউ হাত কাটলে আমরাও হাত কেটে নিতে পারি!” তালিকায় শেষ সংযোজন পুরুলিয়ার বিজেপি নেতা শ্যামাপদ মণ্ডল।
গত ৩ ডিসেম্বর সরকারি অনুষ্ঠানের মঞ্চে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে শোনা গিয়েছিল কু-কথা। জলপাইগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সমালোচকদের আক্রমণ করে বলেছিলেন, “যারা (কাজ) করছে, সারা ক্ষণ তাদের পিছনে কী করে বাম্বু দেওয়া যায়, তার চিন্তা করে বেড়াচ্ছে!” সেই ‘বাম্বু’ প্রসঙ্গ তুলে রবিবার পুরুলিয়ার ঝালদায় দলের এক সভায় মমতাকে উদ্দেশ করে অশালীন মন্তব্য করেন ওই বিজেপি নেতা। দুধকুমারকে নিজের মন্তব্যের জন্য দলের কাছে ক্ষমা চাইতে হয়েছে। শ্যামাপদর মন্তব্যকেও হাল্কা ভাবে নিচ্ছেন না বিজেপি নেতৃত্ব। দলের রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ বলেন, “ওই নেতা এ রকম বলেছেন কি না, আমি জানি না। খোঁজ নিচ্ছি। কিন্তু বলে থাকলে তা অত্যন্ত কুরুচিকর। দল কোনও ভাবেই ওই ভাষা অনুমোদন করবে না এবং তাঁকে সতর্ক করা হবে। সকলকেই ভাষার সংযম বজায় রাখতে হবে।” তৃণমূলের জেলা নেতা সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “রাজনৈতিক বিরোধিতা থাকতেই পারে। কিন্তু কোনও মহিলাকে উদ্দেশ করে এ রকম অশালীন কথা বলাটা শিষ্টাচার বিরোধী।”
রাঢ়বঙ্গের পাঁচ জেলায় দলের প্রচারের দায়িত্বে থাকা শ্যামাপদর অবশ্য দাবি, “মুখ্যমন্ত্রী যে ভাবে বাম্বুর প্রসঙ্গ তুলেছেন, তাতে আমাকেও সেই প্রসঙ্গ তুলতে হয়েছে। কিন্তু, আমি তাঁর প্রতি কোনও অশালীন মন্তব্য করিনি।” সভার ভিডিও ফুটেজ অবশ্য অন্য কথা বলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy