Advertisement
E-Paper

বাড়িতেই যেতে হল কিশোরীকে, সঙ্গী গ্রেফতার

তার দাবি ছিল, সে প্রাপ্তবয়স্ক। কিন্তু প্রমাণপত্র দাখিল করতে পারেনি। সঙ্গীকে নিয়ে মধুবনি থেকে কলকাতার তেঘরিয়ার অতিথিশালায় পালিয়ে আসা মেয়েটিকে তাই তার পরিবারের হাতেই তুলে দেওয়া হল। বুধবার কলকাতাতেই বিহারের রাজনগর থানার পুলিশ ওই মেয়েটিকে তার আত্মীয়দের হাতে দেয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০১৪ ০৩:২০

তার দাবি ছিল, সে প্রাপ্তবয়স্ক। কিন্তু প্রমাণপত্র দাখিল করতে পারেনি। সঙ্গীকে নিয়ে মধুবনি থেকে কলকাতার তেঘরিয়ার অতিথিশালায় পালিয়ে আসা মেয়েটিকে তাই তার পরিবারের হাতেই তুলে দেওয়া হল। বুধবার কলকাতাতেই বিহারের রাজনগর থানার পুলিশ ওই মেয়েটিকে তার আত্মীয়দের হাতে দেয়। মেয়েটিকে অপহরণের অভিযোগে তার সঙ্গী ঋষুকুমারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

রাজনগর থানার পুলিশ জানায়, মেয়েটি যে নাবালিকা, তার বাড়ির লোকজন সেই প্রমাণ পেশ করেছেন। ২০ জুলাই মেয়েটি আর ঋষুকুমার গ্রাম ছাড়ার পরেই থানায় ওই যুবকের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করা হয়। মেয়েটি যে প্রাপ্তবয়স্ক হয়নি, আত্মীয়স্বজজন তার প্রমাণ দেওয়ায় রাজনগরের পুলিশ ঋষুকুমারকে গ্রেফতার করে। যুবকটিকে এ দিন বারাসত আদালতে তোলা হয়। বিহার পুলিশ তাকে ট্রানজিট রিমান্ডে নিতে আবেদন জানায়। বিচারক তিন দিনের ট্রানজিট রিমান্ড দেন। রাজনগর থানার পুলিশ জানিয়েছে, বিহারে মেয়েটির জবানবন্দি নেওয়া হবে।

এ দিন বেলা ২টো নাগাদ ঋষুকুমার এবং তাঁর বান্ধবীকে কোর্টে তোলার জন্য বাগুইআটি থানা থেকে বার করা হয়। ওই যুবক বলেন, “মুঝে ডর লগ রহা হ্যায়।” তাঁর বান্ধবীও ঘাড় নাড়েন। তখন বাগুইআটি থানায় হাজির ছিল মেয়েটির পরিবারও।

ঋষুকুমার এবং মেয়েটিকে মঙ্গলবার সকালে তেঘরিয়ার একটি অতিথিশালা থেকে উদ্ধার করে বাগুইআটি থানার পুলিশ। মেয়েটির পরিবার ওই অতিথিশালায় এসে মেয়েটিকে নিয়ে যেতে চাইলেও সে যেতে চায়নি। পুলিশের কাছে মেয়েটি জানায়, সে প্রাপ্তবয়স্ক। ঋষুকুমারের সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছে। সে কয়েক মাসের অন্তঃসত্ত্বা। পরিবারের হাতে তুলে দিলে তার অন্য জায়গায় বিয়ে দেওয়া হবে কিংবা তাকে মেরে ফেলা হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল মেয়েটি। তার পরেই বাগুইআটি থানার পুলিশ বিহারের রাজনগর থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে।

মেয়েটির সঙ্গে কথা বলে রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন সুনন্দা মুখোপাধ্যায় আশঙ্কা করেছিলেন, পারিবারিক সম্মান রক্ষার্থে মেয়েটিকে খুনের ষড়যন্ত্রও করা হতে পারে। এ দিন সুনন্দাদেবী বলেন, “মেয়েটির বক্তব্য আদালত শুনেছে কি না, জানি না। মেয়েটি আমাকে জানিয়েছিল, বাড়ির লোকের হাতে পড়লে তার নিরাপত্তার আশঙ্কা রয়েছে।” সে-ক্ষেত্রে ওকে এ রাজ্যের শিশু সুরক্ষা কমিশনের হেফাজতে রাখা যেত বলে মনে করেন সুনন্দাদেবী।

bihar run-away teenager arrest companion
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy